বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায় ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে স্বৈরাতন্ত্র কায়েম করেছে। দেশের এই দুর্দিনে দেশপ্রেমিক জনতাকে সংগ্রাম করতে হবে। বিশেষত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি আজ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান-এর সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, গোলাম রব্বানী, লস্কর মো. তসলিম, কবির আহমেদ, মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া ও মনসুর রহমান প্রমুখ।
আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ এক সংকটকাল অতিক্রম করছে। সাধারণ মেহনতি মানুষ সুখে নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তারা অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। জিনিসপত্রের আকাশছোয়া দামের কারণে শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধহারে জীবন অতিবাহিত করছে। তারা সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করা সত্ত্বেও দুবেলা ঠিকমতো খেতে পারছে না। বাজারে গিয়ে মুখ অন্ধকার করে তাদের ফিরে আসতে হয়। চাল ডাল তেলের দাম তো বহু আগেই শ্রমিকদের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। এখন দেশে উৎপাদিত সবজির দামও চড়া। আবার কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। মূলত সরকারের ছত্রছায়ায় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে সাধারণ মানুষদের কষ্ট দিচ্ছে।
তিনি বলেন, মূলত বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই জনগণ সুখে না দুঃখে আছে, এটি তাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। গণমাধ্যমে প্রতিদিন সরকারের অবাধ দুর্নীতি-লুটপাটের সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। তারা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে বিভিন্ন দেশে বেগমপাড়া গড়ে তুলেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সকল দুর্নীতি লুটপাটের বিচার করতে হবে। দেশের টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
শামসুল ইসলাম আরও বলেন, জালিম সরকারকে বিদায় করার কোনো বিকল্প নেই। আজকে দেশে আইনের শাসন নেই। মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। আজকে সারাদেশের মানুষ বর্তমান সরকারের পতন চায়। সীমাহীন ব্যর্থ এই সরকারকে আর মানুষ চায় না। তারা তাদের অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা রাতে নয় দিনের বেলা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়।