বাসর রাতের ফুলশয্যায় নয়, অধিকার আদায়ের অনিবার্য বাস্তবতার অগ্নিগর্ভে জন্ম হয় প্রতিটি শ্রমিক সংগঠনের। আর লড়াই সংগ্রাম, দ্বন্ধ সংঘাত ও জীবন বাস্তবতার বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে একটি কাক্সিক্ষত শ্রমিক সংগঠন। ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ প্রাকৃতিক প্রতিক‚ল পরিবেশ, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় অবহেলা, অনাচার-অবিচার, ক্ষেত্র বিশেষে মালিকপক্ষের দানবীয় আচরণ সহ্য করতে করতে একজন শ্রমিকের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে যায় তখন সে বাঁচার জন্য তীব্র আকাক্সক্ষা আগ্রহ নিয়ে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয়ে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। এর মাধ্যমে গড়ে ওঠে শ্রমিক সংগঠন ও আন্দোলন। একজন শ্রমিক তার শরীর ও মনের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে গেয়ে ওঠে অধিকার আদায়ের সংগ্রামী গান। কখনো বা অত্যাচারী মালিক ও জালিম শাসকের বিরুদ্ধে গগন বিদারী স্লোগান দিয়ে নিজেদের অব্যক্ত কান্নাকে সমাজ ও রাষ্ট্রের কর্ণধরদের কর্ণকুহরে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলে।
লড়াই লড়াই লড়াই চাই। লড়াই করে বাঁচতে চাই। দুনিয়ার মজদুর এক হও। এক হও। এক হও, লড়াই করো। শ্রমিক অধিকার কায়েম কর। এ লড়াই শ্রমিক জনতার। এ লড়াইয়ে জিততে হবে। এ লড়াই অধিকারের, এ লড়াইয়ে জিততে হবে। এ লড়াই সত্য ন্যায়ের, এ লড়াইয়ে জিততে হবে। শ্রমিক মালিক ভাই ভাই বুর্জোয়াদের রক্ষা নাই। বাধা দিলে বাধবে লড়াই এ লড়াইয়ে জিততে হবে।
মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ৬ কোটি শ্রমিক অধ্যাসিত আমার প্রিয় বাংলাদেশের লড়াকু শ্রমিকদের লড়াইয়ের ময়দানের আমি একজন ক্ষুদ্র কর্মী। ব্যক্তিগত, জাতিগত, বিশ্বাস বুদ্ধি ও মজ্জাগত সকল দিক থেকে আমি শ্রমিক পরিচয় ধারণ, লালন ও বহন করি। সে কারণে অত্যন্ত দৃঢ়তা, আনন্দ ও গর্বের সাথে শ্রমিক পরিচয় দিয়ে নিজেকে উজ্জীবিত করি। একটু ব্যাখ্যা করলে বিষয়টি সকলের নিকট আরও পরিষ্কার হবে। মানবজাতির আদি পিতা হযরত আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন পৃথিবীর প্রথম নবি ও একজন শ্রমজীবী মানুষ। নবুওয়াতের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি শ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। পৃথিবীর প্রথম মানুষ হিসেবে এই পৃথিবীকে মানুষের বসবাস ও আবাদযোগ্য করার জন্য যাবতীয় কাজ সহস্তে করেছেন। সহজ কথায় বলতে গেলে তিনি ছিলেন একজন পুরোদস্তর কৃষি শ্রমিক।
তাছাড়া শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিতে আমার আরও একটি গর্বের কারণ রয়েছে সেটিও আমি পরিষ্কার করতে চাই। সারা পৃথিবীর মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সুসন্তান হযরত ইসমাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন আল্লাহর পরীক্ষিত বান্দা, নবি এবং শ্রমিক মানুষ। তাঁরা পিতা-পুত্র উভয়ের নির্মাণ শ্রমিকের মত কাজ করে কাবা ঘর নির্মাণ করেছেন। আল্লাহতালা পবিত্র কুরআনের সুরা বাকারার ১৮৭ নাম্বার আয়াতে বলেছেন “আর যখন ইব্রাহিম (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং ইসমাইল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উভয় মিলে কাবাঘর নির্মাণ করেছিলেন এবং মহান আল্লাহকে বলেছিলেন হে আল্লাহ তুমি আমাদের পক্ষ থেকে এই কর্ম কবুল করো। নিশ্চই তুমি দোয়া শ্রবণকারী।” পিতা-পুত্র মিলে পবিত্র কাবাঘর নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করে সারা পৃথিবীর শ্রমজীবী মানুষকে বিশ্বের দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। গর্বিত করেছেন তাদের এই পবিত্র কর্মকে। ফলে শ্রমিকদের সুখে দুখে তাদের সাথে থাকতে পারা তাদের মনের বাক্য বুঝতে পারা ও বিপদ-আপদে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারাটাকে পরম সৌভাগ্যের বিষয় বলে আমি মনে করি। আরও একটি কারণ আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই আর তা হল আমার জন্মদাতা পিতাও ছিলেন একজন ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবী মানুষ। মা ছিলেন গৃহিনী। মাকে দেখেছি সংসারে কৃষি কাজের সাথে জড়িত নানান কাজে বাবাকে সাহায্য করতে। সেদিক থেকে বাবা-মাকে আদর্শ শ্রমিকও বলা যায়। তাই আদি পিতা, মুসলিম জাতির পিতা এবং আমার জন্মদাতা পিতা সকলেই যেহেতু শ্রমিক সেহেতু অত্যন্ত গর্বের ও মর্যাদার সাথে ঘোষণা দিচ্ছি আমি শ্রমিকের উত্তরাধিকারী শ্রমিক। শ্রমিকের ঔরসজাত একজন খাস শ্রমিক। আর সারা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ শ্রেষ্ঠ নবি ও রাসুল আমাদের প্রিয় নেতা হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লামও যার উম্মত হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচয় দিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি তিনিও ছিলেন একজন শ্রমিক। তিনি বলেছেন, পৃথিবীতে এমন কোন নবি রাসুল আগমন করেননি যিনি শ্রমিক ছিলেন না। রসুলের সাহাবীগণ রসুলকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম। আপনিও কী তাহলে শ্রমিক? তিনি বলেছিলেন, হ্যাঁ। আমিও দুই দেরহামের বিনিময়ে ইহুদিদের ছাগল চড়িয়েছি। এর চেয়েও বড়ো উদাহরণ ও সুখের সংবাদ আর কিই বা হতে পারে? তাছাড়া আল্লাহর নবি হযরত দাউদ (আ.) হযরত শোয়াইব (আ.), হযরত মুসা (আ.), হযরত নুহ (আ.) সহ অসংখ্য নবি রাসুল ছিলেন শ্রমিক। শ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। তাই একজন শ্রমিক হিসাবে আমার শিরা উপশিরায় ও প্রতি ফোঁটা রক্ত কণিকায় শ্রমিকের ঘাম ও রক্তের সুগন্ধি মিশে আছে।
আমি দুচোখ মিলে যা দেখেছি তাই বলছি। লড়াই সংগ্রাম শ্রমিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ । এক মুঠো রুটি রুজি, এক টুকরো কাপড়, একটু মাথা গোজার ঠাঁইয়ের জন্য একজন শ্রমিককে আজীবন লড়াই করতে হয়। জীবন চলার প্রতি পদক্ষেপে, জীবন সংগ্রামের প্রতি বাঁকে বাঁকে, বাস্তব জীবনের পথ ঘাটে তাকে লড়াই সংগ্রাম করেই টিকে থাকতে হয়। এ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সে হয়ে ওঠে আত্মবিশ্বাসী, সাহসী, অপরাজেয়। অর্জিত হয় জীবনের মূল্যবোধ। জীবনকে নতুন করে জানতে শিখে, বুঝতে শিখে। তার শানিত কর্মযজ্ঞের প্রতি ফোঁটা ঘামে গড়ে ওঠে পৃথিবীর বিকাশমান সভ্যতা। না পাওয়ার বেদনার আগুনে জ্বলতে জ্বলতে সে হয়ে ওঠে খাঁটি সোনা। কিন্তু বিশ্ব সভ্যতার সভ্য মানুষগুলোর কাছে কোনোদিনও এই অবহেলিত লাঞ্ছিত ও বঞ্চিত মানুষগুলো তাদের অধিকার ফিরে পায়নি। আমার জানা মতে, যুগে যুগে যত বিপ্লব সাধিত হয়েছে তার অগ্রগামী বিপ্লবী ও সংগ্রামী সৈনিক ছিল এই সোনার মানুষগুলো। শিক্ষিত সমাজ কিংবা ছাত্র সমাজ একটি আন্দোলনের সূচনা করতে পারে কিন্তু আন্দোলনের পূর্ণতার জন্য শ্রমিক সমাজ একান্ত অপরিহার্য। যা আমরা আমাদের দেশে ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন ৯০ এর গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনের পরতে পরতে দেখেছি। সোনা পুড়লে যেমন খাঁটি সোনায় পরিণত হয় ঠিক তেমনি জন্ম থেকে ব্যথা বেদনা দুঃখ জ্বালা যন্ত্রণার আগুনে জ্বলতে ও পুড়তে পুড়তে একজন শ্রমিক খাটি সোনায় পরিণত হয়। বড়ো দুঃখের বিষয় বিশ্ববাজারে আজ সোনার দাম অনেক বেড়েছে সে তুলনায় শ্রমিকের দাম মোটেও বাড়েনি। বাংলাদেশের মসজিদগুলোর সুউচ্চমিনার থেকে মুয়াজ্জিনের সুললিত কন্ঠে আজানের ধ্বনি শুনে শ্রমিকরা প্রতিদিন তাদের কর্মে বেরিয়ে পড়ে। শুরু হয় তাদের নিত্যদিনের কর্মযজ্ঞ। এরপর আমরা কি দেখি ও কি শুনি? পথে ঘাটে, শহরে বন্দরে, অলিতে গলিতে, কল কারখানায়, অফিস আদালতে যত্রতত্র অধিকার হারা মানুষগুলোর আত্মচিৎকার ও আর্তনাদ।
যা দেখে ও শুনে ব্যথাতুর হৃদয় মন দুঃখে বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। ষড়ঋতুর এই দেশে ঋতু বদল হয়। গ্রীষ্মের পরে আসে বসন্ত কিন্তু শ্রমিকের জীবনে কখনোই বসন্ত আসতে দেখি না। ভাগ্য বদলের কথা বলে ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলন হল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা পেল শ্রমিক সমাজ। ক্ষমতার হাত বদল হলো বারবার কিন্তু শ্রমিকের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হলো না। একেই বলে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। ভাগ্য গড়ার কারিগর শ্রমিক, মানুষরূপী ভাগ্য বিধাতার কালো থাবাই পিষ্ট হয়ে কলুর বলদের মত টেনে চলেছে জীবনের ঘানি। শ্রমিকদের ভাগ্য নিয়ে ফুটবলের মত খেলছে দুর্নীতিপরায়ণ, অতি লোভী বুর্জোয়া ধন কূপেরা। তাই সারাদেশে ছড়িয়ে ছিঠিয়ে থাকা সোনার মানুষগুলোকে একত্রিত করে দুর্নীতিবাজ অসাধু মালিক ও জালিম রাষ্ট্র নায়কদের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বৃহত্তর শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলা এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি। লড়াই সংগ্রামে মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা শ্রমিক সংগঠনের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা লক্ষ্য মাত্রায় নিয়ে যেতে হলে শ্রমিক নেতাদের অবশ্যই কতিপয় গুণের অধিকারী হতে হবে।
প্রথমত: একজন শ্রমিক নেতাকে আধুনিক ইহলৌকিক জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে। ইহলৌকিক জ্ঞান বলতে আমি মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার থেকে শুরু করে সকল প্রকার যানবাহন পরিচালনা, ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশন গঠন ও পরিচালনা, শ্রমিক সংগঠনের জনশক্তি পরিচালনা সংক্রান্ত জ্ঞান, বাংলাদেশের সংবিধান, মানবাধিকার কমিশন, শ্রম অধিদপ্তর ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে শ্রমিকদের অধিকার এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কিত বিষয়; ওই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের কি ধরনের সুযোগ সুবিধা ও অধিকার রয়েছে সে সম্পর্কে জ্ঞান।
দ্বিতীয়ত: ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের কৌশল এবং ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের প্রয়োজন প্রেক্ষিতে জ্ঞান অর্জন করা। এজন্য নিয়মিত কোরআন, হাদিস, ইসলামী বই, ইসলামী জার্নাল অধ্যয়নের মাধ্যমে ইসলামের আধুনিকতা প্রগতিশীলতা সঙ্গবদ্ধতা ও সংগঠন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা এবং শ্রমিক অধিকার ও মর্যাদা সংক্রান্ত গভীর জ্ঞান অর্জন করা।
তৃতীয়ত: মেধা মননে অনন্য শ্রমিক বান্ধব আধুনিক নেতৃত্বের অধিকারী হওয়া। শ্রমিক সমাজকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের পথে পরিচালিত করার জন্য নিজেকে পরিশীলিত, পরিমার্জিত, নৈতিকতা সম্পন্ন ও মেধা মননে আরও অগ্রগামী হতে হবে।
চতুর্থত: পারলৌকিক জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে। পারলৌকিক জ্ঞান বলতে আমি স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বুঝিয়েছি। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য বিনিদ্র রজনী যাপনের অভ্যাস গড়ে তোলা। আর এই ব্যাপারে হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর সেই হাদিসটি সব সময় স্মরণ রাখতে হবে। হযরত ওমর (রা.) রাত জেগে জেগে মহান আল্লাহ তাআলার এবাদত বন্দেগী করতেন। একবার তার আহাল বর্গ তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন আপনি তো আল্লাহ তালার কাছে ক্ষমা প্রাপ্ত তবুও কেনো রাত জেগে জেগে আল্লাহর এবাদত বন্দেগি করেন? তখন তিনি বলেছিলেন, আমি যদি রাত জেগে আল্লাহর ইবাদত না করি তাহলে আমার আত্মা ধ্বংস হয়ে যাবে।
পঞ্চমত: কঠোর পরিশ্রমী ও কষ্ট নির্ভরশীল হতে হবে। কারণ একটি বিশৃঙ্খল, অনিয়ন্ত্রিত, সত্যের পথ হারা, অধিকার বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্যে পৌঁছানো চাট্টিখানি কথা নয়। এজন্য সকল প্রকার আরামপ্রিয়তা, অলসতা , অকর্মণ্যতা, মানসিক সংকীর্ণতাহীন, দুর্বল চিত্ততা পরিহার করা একান্ত অপরিহার্য। পরিশ্রম সংক্রান্ত বিষয় হযরত ওমর (রা.) এর এই হাদিসটি মনে রাখতে হবে। তিনি বলেছেন, “আমি যদি দিনের বেলায় ঘুমাই তাহলে আমার প্রজারা ধ্বংস হয়ে যাবে।” তাই ব্যাপক পরিশ্রম প্রিয় হয়ে কাজের মধ্যে ডুবে থাকতে হবে। দিকভ্রান্ত পথহারা জাতিকে দিতে হবে সত্য সুন্দর পথের সন্ধান। গড়ে তুলতে হবে অধিকার আদায়ের বলিষ্ঠ সংগঠন। পরিশ্রম ও কেবল পরিশ্রমের মাধ্যমেই একটি জাতি উন্নতির চরম উচ্চ শিখরে পৌঁছতে পারে। অর্জন করতে পারে প্রত্যাশিত ফলাফল।
লেখক: কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন