চট্টগ্রাম বন্দর ইসলামী শ্রমিক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সহ-সভাপতি বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আব্দুল গনী ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
তার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম শোকবানী প্রদান করেছেন।
শোকবানীতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনে মুহাম্মদ আব্দুল গনী একজন দৃঢ়চেতা, ইসলামী আদর্শনিষ্ঠ শ্রমিকনেতা হিসেবে শ্রমজীবী মানুষের মনে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত থাকবেন। দৃঢ়তা, অটুট মনোবল এবং ব্যক্তিত্বে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতায় একজন ব্যতিক্রমী শ্রমিকনেতা। স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির সকল সংগ্রামে তিনি রেখেছেন অসামান্য অবদান। তিনি ছিলেন ইসলামী আদর্শের বাস্তব ও মূর্ত প্রতীক। তিনি আজীবন আদর্শ, চরিত্রবান, সৎ খোদাভীরু শ্রমিক নেতৃত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। তার কর্মময় জীবন আদর্শ জীবন গড়ার জন্য প্রেরণা দিবে।
শোক বানীতে তিনি আরো বলেন, মরহুমের জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাকে জান্নাতবাসী করার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনের কাছে দোয়া করছি। মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, মহান আল্লাহ তায়া’লা তাদের এই শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।
উল্লেখ্য মুহাম্মদ আব্দুল গনী ৭৩ বছর বয়সে সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মরহুমের জানাযার নামাজ চট্টগ্রাম বন্দর কবরস্থান মসজিদ চত্বরে দুপুর ১.৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে এডিশনাল ম্যাজিট্টেটের নেতৃত্বে বন্দর থানার একদল পুলিশ গার্ড অব অনার ও পরিবারের কাছে ক্রেস্ট প্রদান করেন।
এসময় জানাযায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরীর সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর হোসাইন, স্থানীয় কাউন্সিলর শফিউল আলম, ফেডারেশনের চট্টগ্রাম বন্দর অঞ্চলের সভাপতি আবু তালেব চৌধুরী, সাবেক সভাপতি মুক্তিযুদ্ধা আবুল কালাম মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক শিহাব উল্লাহ। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএ সহ-সভাপতি মোকাররম হোসেন মুকুল, সিবিএর সাধারণ সম্পাদক নায়েবুর রহমান ফঠিক, সি বি এ সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শ্রমিক দল নেতা নুরুল্লাহ বাহার, চট্টগ্রাম বন্দর শ্রমিক নেতা নুরুল মোস্তফা ও এস. এম. জাকারিয়াসহ স্থানীয় ট্রেডইউনিয়ন ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, নাতি-নাতনি ও আত্ব্বীয়স্বজনসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে এই নশ্বর জগত ছেড়ে চির বিদায় গ্রহন করেছেন।