করোনা মহাসঙ্কটকালে শ্রমিকরা যাতে কর্মহীন না হয় সে জন্যই সরকার পোশাক শিল্পের জন্য সবার আগে বড় ধরনের আর্থিক প্রণোদনা দেয়া সত্ত্বেও ঘোষণা দিয়ে পোশাক শিল্পে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে মালিক গন ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষার জন্য পোশাক শিল্পকে বৃহত্তর ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বলে মনে করেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম। বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হকের শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে চীনের রফতানি আদেশ কমেছে ৫২ শতাংশ। অন্য দিকে বাংলাদেশের কমেছে ২ শতাংশ আর ভিয়েতনামের বেড়েছে ৭ শতাংশ। ভিয়েতনামের মতো দেশের যদি রফতানি আদেশ বেড়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশের কমলো কেন? ভিয়েতনাম কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে যা বাংলাদেশ নিতে পারেনি? কেন পারেনি সেই ব্যাখ্যাও বিজিএমইএ’র নেতৃবৃন্দকে দিতে হবে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন আপনারা প্রণোদনাও নেবেন, ছাঁটাইও করবেন, এ দুটো একসাথে চলতে পারেনা।
তিনি বলেন, সরকার শ্রমিকদের বেতনের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে। ইইউ ৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। বাতিল হওয়া রপ্তানি কার্যাদেশও অনেক ক্রেতা পুনর্বহাল করেছেন। এরকম পরিস্থিতিতে রুবানা হকের শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘোষণা কোন ভাবেই কাম্য নয়। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।অথচ তাদের এই অযৌক্তিক ও অন্যায় সিদ্ধান্তের কারণে লাখ লাখ শ্রমিক সংকটে পড়বে।তাই তিনি অবিলম্বে শ্রমিক ছাঁটাই নিয়ে বিজিএমইএ সভাপতির অন্যায্য বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।