বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেছেন শ্রমিকদের অধিকার ও মানউন্নয়নে সময় উপযোগী নেতৃত্ব তৈরি করতে দায়িত্বশীলদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।গতকাল ৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বার্ষিক সেক্রেটারিয়েট বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ-ই কথা বলেন।
ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের পরিচালনায় এসময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, গোলাম রাব্বানী, লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, মজিবুর রহমান ভূইয়া, মনসুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর হুসাইন, কোষাধ্যক্ষ আজহারুল ইসলাম,দফতর সম্পাদক নুরুল আমিন, পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল হাশেম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল মতিন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বাছির, প্রচার সম্পাদক জামিল মাহমুদ, আইন- আদালত সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু প্রমুখ।
তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষদের বহু দিনের প্রত্যাশা, যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, কিন্তু যুগের পর যুগ পেরিয়ে গেলেও তাদের সেই প্রত্যাশা আজও পূরণ হয়নি। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের নামে একশ্রেনীর সুবিধাভোগী শ্রমিক নেতারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন কিন্তু শ্রমিকদের ভাগ্য আজও পরিবর্তন হয়নি। আর নৈতিকতা ও আদর্শহীন নেতৃত্ব দিয়ে শ্রমিকের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন শ্রমিক অঙ্গনে কাংখিত নেতৃত্ব গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। তাই আমাদের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে হবে।সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের শ্রমআইন, ট্রেড ইউনিয়নের উপর দক্ষ করে ও নৈতিকতার ভিত্তিতে উপযুক্ত নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে।
তিনি দায়িত্বশীলদের উদ্দেশ্যে বলেন, শ্রমিকদের সুসংগঠিত করে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রতিটি নেতাকর্মীকে অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় আরও বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। শ্রমিকদের অধিকার আদায় ও ইনসাফপূর্ন শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে শ্রমিক অঙ্গনে থাকতে হবে। প্রতিটি শ্রমিকের কাছে ইসলামী শ্রমনীতির সুমহান আদর্শের বাণী পৌঁছে দেওয়ার কাজ আরো গতিশীল করতে হবে। শত প্রতিকূলতার মাঝেও যোগ্যতা ও নৈতিকতার ভিত্তিতে সময় উপযোগী নেতৃত্ব তৈরীর কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।