বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমন পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল শ্রমিকদের মাঝে সুষ্ঠু বন্টনের উদ্যোগ নিতে হবে। রপ্তানীমুখী শিল্পের ক্রান্তিলগ্নে এই শিল্প খাতকে টিকিয়ে রাখা এবং ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে লাখ লাখ শ্রমিক- কর্মচারীদের জীবন- জীবিকা নির্বাহে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা সময়োপযোগী হয়েছে। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
তিনি অারো বলেন, শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন- ভাতা পরিশোধের জন্য ঘোষিত এই তহবিল যাতে সঠিক ভাবে শ্রমিকরা পায় সেজন্য সরকারকে যথাযথভাবে মনিটরিং করতে হবে। মধ্যস্থতাকারী কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান যাতে এটি অন্য দিকে খরচ করতে না পারে সেই দিকে নজর দিতে হবে।
অা ন ম শামসুল ইসলাম আরো বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য বেতন পায়। যে বেতনে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে সবসময় মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। তাই বেতনের নিশ্চয়তা না থাকলে তাদের ক্ষোভ-অসন্তোষ সামাল দেয়া কঠিন হবে। সঙ্গত কারণে বিজিএমইএ নেতারাসহ সরকারের উচ্চপর্যায়কে রপ্তানীমুখী শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা সঠিক সময়ে পরিশোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত তহবিলের অর্থ দ্বারা কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তি, বিজিএমইএসহ সরকারকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। একই সাথে করোনাভাইরাস বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা গার্মেন্টস শিল্পের ৫০ লাখ শ্রমিকের স্ব-বেতনে ছুটি নিশ্চিত করে অবিলম্বে গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ ঘোষণা এবং গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পূনরায় আহবান জানান।