বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান আজ এক যৌথ বিবৃতিতে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানা পুলিশ কর্তৃক দায়েরকৃত মিথ্যা বানোয়াট ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ড. সৈয়দ সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দীকিসহ ২৯ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে জেল হাজতে প্রেরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন বর্তমান সরকার তাদের সীমাহীন ব্যর্থতা আড়াল করতে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা বানোয়াট ও পুলিশি মামলা দিয়ে জনগণের দৃষ্টিভ্রম করতে চাচ্ছে। আমরা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে ড. সৈয়দ সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দীকিসহ সকল রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশের মানুষ যখন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দিশাহীন। তখন সরকার জনগণের দুর্দশা দূরিকরণের বদলে বিরোধী মত দমনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট ও পুলিশি মামলা দিয়ে শ্রমজীবী মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতৃত্বকে হয়রানি করা হচ্ছে। ড. সৈয়দ সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দীকিসহ নেতৃবৃন্দ আইনের ওপর শ্রদ্ধাশীল থেকে এই মিথ্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন গ্রহণ করেছিলেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে নিম্ম আদালত থেকে জামিন নেওয়ার জন্য কোর্টে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু নিম্ম আদালত নির্দোষ নেতাকর্মীদের জামিন বিবেচনা না করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবিধান দেশের প্রতিটি নাগরিককে দলমত করার অধিকার দিয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না। তাই তারা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে সারাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নামে লাখো লাখো মামলা দিয়ে দেশের রাজনীতিতে এক নতুন মামলাজট সৃষ্টি করেছে। যা নিয়ে দেশের মানুষের মনে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জনতার ক্ষোভ অচিরেই বিস্ফোরণ ঘটবে। তখন এসব মিথ্যা মামলা দিয়ে জনতার অধিকার রুখে রাখা যাবে না। তাই আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, জনতার বিস্ফোরণ ঘটার পূর্বে সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তি দিয়ে আপনারা শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিবেন।