বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ১৬ ডিসেম্বর লাখো শহীদের রক্তস্নাত বিজয়ের দিন। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর পাশবিকতা, বর্বরতার বিরুদ্ধে এ সবুজ ভূ-খন্ডের সর্বস্তরের মুক্তিকামী শ্রমিক জনতার স্বতঃস্ফূর্ত ও অবিরাম লড়াইয়ের ফসল আজকের বাংলাদেশ। বিজয়ের ৪৯ বছরেও জাতি স্বাধীনতার সুফল হতে বঞ্চিত। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দেশ-শ্রমজীবী ও ইনসাফভিত্তিক শ্রমনীতি বিনির্মানের মাধ্যমে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে। তা বিজয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশপ্রেমিক শ্রমিক জনতাকে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। রবিবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের পরিচালনায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, কবির আহমেদ, লস্কর মুহাম্মদ তসলিম, মজিবুর রহমান ভূইয়া। কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম, অফিস সম্পাদক আবুল হাশেম এবং বাংলাদেশ কৃষীজিবি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হাসান রাজু প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে এ যুদ্ধ হয়েছিল সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জাতীয় ঐক্যর মাধ্যমে। এই দেশপ্রেম ও ঐক্যের শক্তিই সেদিন অল্প সময়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। কিন্তু দু:খজনকভাবে যে লক্ষ্যে লাখো শহীদ জীবন বিলিয়ে দিয়েছে তা আজও পূর্ণাঙ্গভাবে অর্জিত হয়নি। দেশের মানুষ সত্যিকার অর্থে আজও স্বাধীনতার সুফল পায়নি। শ্রমজীবী মানুষের সত্যিকার অর্থনৈতিক মুক্তি আজও অর্জিত হয়নি। তাই বিজয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশপ্রেমিক শ্রমিক জনতাকে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আর সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কাজ করে যাচ্ছে, আমরা বিশ্বাস করি একটি ইনসাফভিত্তিক শ্রমনীতির বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এদেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আদায়ের মাধ্যমে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।