বায়তুশ শরফের পীর বাহরুল উলুম হযরত মাওলানা কুতুব উদ্দিন সাহেব ও বায়তুশ শরফ কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল ইসলাম সাহেবের ইন্তেকালে গভীরশোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান। গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এই শোক প্রকাশ করেছেন
নেতৃবৃন্দ বলেন,যারা নীরবে নিরালায় সবার অজান্তে অসহায় মানুষের জন্য, সমাজের কল্যাণে, দেশের হিতে এবং বিশ্ব মানবতার সেবায় তিলতিল করে আপন অস্তিত্ব বিকিয়ে দিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মাওলানা কুতুব উদ্দিন সাহেব ও মাওলানা নুরুল ইসলাম।এত বড় ব্যক্তিত্ব হওয়ার পরও তাদের বিনয় ছিলো অনুসরণীয়। তাদের মৃত্যুতে দেশ একজন দেশপ্রেমিক, নিবেদিতপ্রাণ ও প্রবীণ আলেমে দ্বীন, এবং দেশের ইসলামী অঙ্গণে একজন যোগ্য ও দরদী অভিভাবক হারালো। এ শূন্যতা কখনো পূরণ হবার নয়।তারা ছিলেন ইসলামী আদর্শের বাস্তব ও মূর্ত প্রতীক। তারা আজীবন আদর্শ, চরিত্রবান, সৎ খোদাভীরু শ্রমিক নেতৃত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। তাদের কর্মময় জীবন আদর্শ জীবন গড়ার জন্য প্রেরণা দিবে।
উল্লেখ্য খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন, বায়তুশ শরফের পীর বাহরুল উলুম আল্লামা শাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন বুধবার (২০ মে) বিকেল ৫টায় রাজধানির ধানমন্ডি আনোয়ারখান মডার্ন হসপিটাল লি: এর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মরহুমের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তার স্ত্রী, ৬ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে।
এদিকে গতকাল দুপুর ১২টায় চট্রগ্রাম নগরীর একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কেন্দ্রীয় বায়তুশ শরফ মসজিদের খতিব মাওলানা নূরুল ইসলাম (৬৭) ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে…রাজেউন)। মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী, এক ভাই, দুই ছেলে ও পাঁচ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
শোক বানীতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, তাদের জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাদেরকে জান্নাতবাসী করার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনের কাছে দোয়া করছি। মরহুমদের শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, মহান আল্লাহ তায়া’লা তাদের এই শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।