রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান। আজ এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বঙ্গবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫ হাজার ব্যবসায়ী ও ৫০ হাজার কর্মচারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সরকারকে দাঁড়াতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে ব্যাপক দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। অধিকাংশ দুর্ঘটনার পেছনে রয়েছে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার নিয়মিত তদারকির গাফলতি। রাজউক, সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো যদি নিয়মিত তদারকি করতো তাহলে এসব দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো। গতকাল ভোর ৬টায় বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৬ ঘণ্টার অধিক সময় ব্যয় হয়েছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী আজও আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়নি। এখনো ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, এখনো ১২টি ইউনিট আগুন নিভোনোর কাজ করছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার বারবার ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সংস্থার আধুনিকতার বুলি এড়ালেও বাস্তবে এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং প্রতিটি দুর্ঘটনায় তাদের অসহায়ত্ব দেখি। গতকাল দ্রæততার সাথে আগুন নিভোনো সম্ভব হলে ব্যবসায়ীদের এতো বড়ো ক্ষতি হতো না। আজ ৫ হাজার ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে। তারা পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ব্যাংক ও অন্যান্য জায়গায় থেকে ঋণ করে নতুন জামা কাপড় দোকানে তুলেছিল। এই দুর্ঘটনায় তাদের প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে এসব দোকানে ৫০ হাজারের অধিক কর্মচারী চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। আজ তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আসন্ন ঈদের আগে এটি তাদের জন্য বড়ো ধাক্কা।
নেতৃদ্বয় বলেন, ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাদের বিনাশর্তে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। অন্যদিকে ঈদের পূর্বে বঙ্গবাজারে কর্মরত দোকান কর্মচারীদের তালিকা করে তাদের বিশেষ প্রণোদনা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।