বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মো. তসলিম বলেছেন, বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের লক্ষ্যে সরকারসহ সব পক্ষকে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ব্যবসায়ীদের বঙ্গবাজারের আশেপাশে অস্থায়ী মার্কেট করে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।
তিনি আজ বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের মাঝে ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে ইফতার বিতরণ কালে এসব কথা বলেন। মহানগরী সভাপতি আব্দুস সালাম-এর সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম-এর সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন, সাহায্য ও পুনর্বাসন সম্পাদক আবুল হাশেমসহ মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
লস্কর মো. তসলিম বলেন, অধিকাংশ ব্যবসায়ী ঈদ উপলক্ষ্যে ব্যাংক থেকে বড়ো অঙ্কের ঋণ নিয়েছিল। ব্যবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে। আজ ব্যবসায়ীদের মাথায় ব্যাংক ঋণ বোঝা হয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে ব্যবসায়ীদের উদ্ধারের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে ব্যবসায়ীদের সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। তারা যেন এই ঋণ দিয়ে সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, গত কিছুদিন ধরে দেশে ব্যাপক হারে দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এসব দুর্ঘটনার পর সরকারের বিভিন্ন সংস্থা একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করলেও কোনো এক অজানা কারণে তদন্ত প্রতিবেদন জাতির সামনে প্রকাশ করা হয় না। আমরা প্রতিটি দুর্ঘটনার প্রতিবেদন দেখতে চাই। আরও দেখতে চাই প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকার দুর্ঘটনা এড়াতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কি না।
লস্কর মো. তসলিম আরও বলেন, আজ বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৫০ হাজার দোকান কর্মচারী কর্মহীন হয়ে পড়েছে। দেশে আজ মহাদুর্দিন চলছে। তার মধ্যে এতো বিশাল সংখ্যক শ্রমিকের কর্মহীন হয়ে পড়া তাদের পরিবার-পরিজনের জন্য প্রচণ্ড ধাক্কা। সামনে ঈদ আসছে। বহু শ্রমিকের সন্তান প্রত্যাশা নিয়ে বসে ছিল, ঈদে তার বাবা একটি নতুন জামা কিনে দিবে। বর্তমান বাস্তবতায় শ্রমিকরা তাদের সন্তানদের এই ইচ্ছে আর পূরণ করতে পারবে না। আমরা জানি না, এই শ্রমিকরা কীভাবে তাদের আগামী দিনগুলো কাটাবে। হয়ত তাদের কর্মস্থল ঠিক না হওয়া পর্যন্ত অনাহারে-অর্ধাহারে জীবন কাটাতে হবে।