বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতিতে সীমিত আয়ের লোক, নিম্নমধ্যবৃত্ত,মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন যাত্রার মান স্বাভাবিক রাখতে নাভিশ্বাস উঠেছে।শাক সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে। তাদের সীমিত আয়ের বড় অংশ চলে যাচ্ছে চাল-ডাল, শাক-সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী কিনতে। সীমিত আয়ের দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ যাতে তাদের পরিবার নিয়ে দু’বেলা খেয়ে দিনযাপন করতে পারে সে জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য দরিদ্র জনগণের ক্রয় সীমার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য জরুরী ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য গতকাল এক বিবৃতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি এ আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, বাজারে মুরগির চেয়ে সবজির দাম বেশি।করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শিম ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৫০-৫৫ টাকা, কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, ডিম প্রতি ডজন ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ১২০ টাকা,বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এভাবে চাল ডাল সহ সকল পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
এভাবে হঠাৎ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কোন সুনিদিষ্ট কারণ নেই। অতিরিক্ত মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যেই দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সরকার পক্ষের দলীয় কর্তাব্যক্তিরাই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষে ভাবে এ মূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। মূলত তারাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন, সরকারের উপর মহলের সাথে যোগ সাজস করে এক শ্রেণীর অতিরিক্ত মুনাফা লোভী, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে বলে সাধারণ জনগন মনে করেন। যার কারণেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে যাচ্ছে।
তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সরকারের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ প্রধানত: দু’টি বিষয় প্রত্যাশা করে।একটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ, অন্যটি হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ। কিন্তু দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতা, অদক্ষতা ও অবহেলার কারণে দেশে নজিরবিহীন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যার ফলে একজন খেটে খাওয়া দিনমজুরের পক্ষে শুধু আলু ভর্তা আর ডাল খাওয়াও এখন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অনতিবিলম্বে জনগনের মৌলিক সমস্যার সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করুন নতুবা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে জনগনকে মুক্তি দিন।