বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেছেন, ইসলামী শ্রমনীতি ছাড়া শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায় সম্ভব না। ইসলামী শ্রমনীতির সুফল সম্পর্কে এখনো শ্রমিকরা অবগত না। তাই তাদের নিকট সর্বপ্রথম ইসলামী শ্রমনীতির দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। ইসলামী শ্রমনীতির দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য নববর্ষের প্রকাশনা হবে প্রধান হাতিয়ার।
তিনি আজ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কর্র্তৃক ২০২৩ সালের নববর্ষের জন্য প্রকাশিত প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আবুল হাশেম-এর সঞ্চালনায় এতে আর বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি লস্কর মুহাম্মদ তসলিম, মনসুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আজহারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন প্রমুখ।
অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির একমাত্র পথ ইসলামী শ্রমনীতি। কিন্তু অসৎ নেতৃত্ব শ্রমজীবী মানুষদের প্রকৃত সত্যের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা লেলিন-মার্কসবাদের ভ্রান্ত তত্ত্ব দিয়ে শ্রমজীবী মানুষদের দিনের পর দিন ঠকিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকের রক্ত ঘামের ওপর দাঁড়িয়ে তারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় নিয়োজিত আছে। সুতরাং এসব ভ্রান্ত মতবাদ থেকে মেহনতি শ্রমিকদের আদর্শিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদেরকে সহজ ভাষায় ইসলামী শ্রমনীতির দাওয়াতের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার করতে হবে। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নববর্ষের প্রকাশনার মাধ্যমে ইসলামী শ্রমনীতির দাওয়াত চর্তুরদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই চেষ্টা তখনই সফলতা লাভ করবে যখন প্রতিটি শ্রমিকের ঘরে ঘরে শ্রমিক কল্যাণের ডায়রি-ক্যালেন্ডারসহ নববর্ষের নানা প্রকাশনা পৌঁছে যাবে। নববর্ষের প্রকাশনার উত্তরোত্তর সফলতার জন্য তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে ইসলামী শ্রমনীতির দাওয়াত সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে সর্বোত্তম কৌশল অবলম্বন করতে হবে। এটি আল্লাহরও নির্দেশ। সহজ সরল ভাষায় ও শ্রমিকদের উপযোগী করে প্রকাশনা প্রকাশ করা গেলে অল্প সময়ের মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষদের ইসলামী শ্রমনীতির পতাকাতলে সমবেত করা সম্ভব হবে।
অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা শ্রমিকের কল্যাণে কাজ করি। আমরা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করি। আজকে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠিত না থাকার দরুন শ্রমজীবী মানুষরা দুঃখ-দুর্দশায় জীবন অতিবাহিত করছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে।