আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। অন্য ধর্মের ভাই বোনদের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা রাসুলিহিল আমীন ওয়ালা আলিহি ওয়া আসহাবিহি, ওয়া আহলে বাঈতিহি আজমাঈন।
আজকের এ সকালটা আমার জন্য চরম সৌভাগ্যের। কারণ এ আয়োজনটি রাসূল (সা:) এর কাছে প্রিয় একদল মানুষের আয়োজন। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বড় ভালোবেসে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তায়ালা হচ্ছেন আসমান-জমিন ও তার ভিতরে যা কিছু আছে তার স্রষ্টা। এ ক্ষেত্রে আর কারো কোনো অংশিদারিত্ব নেই। মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে একটি খালেছ কর্তব্য ও সম্মান দিয়ে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। কর্তব্যের ব্যপারে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে মানুষ তোমাদেরকে ও জ্বীন জাতিকে আমি আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি। আর মানুষকে খালেছ ভাবে বলেছেন যে, তোমাদেরকে আমার প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করেছি। আজকের এই মহতি সমাবেশ ও জাতীয় সম্মেলনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সারাদেশের ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনের সম্মানিত সভাপতি, সম্মানিত অতিথি বৃন্দ, প্রিয় সঞ্চালক, ডেলিগেট বন্ধুগণ আমি আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি যে, এমন একটি মহতি আয়োজনে আমাকেও আপনাদের সাথে যুক্ত হওয়ার তৌফিক দান করেছেন পবিত্র এ জুমাবারে। আমরা নিজেদেরকে একটু পরখ করে দেখবো যে, এখানে আমরা কি নিয়ে এসেছি, আমাদের ফিরে যাওয়ার কোনো জায়গা আছে কি না এবং সেখানে গেলে আমাদের জন্য কি অপেক্ষমান।
আমরা যে দেশে বসবাস করছি সেটি ২৩ বছরের ব্যবধানে দুইবার স্বাধীন হয়েছে। ১৯৪৭ সালে একবার বৃটিশ শাসিত অখন্ড ভারত থেকে এবং ১৯৭১ সালে একবার ফেডারেল পাকিস্তান থেকে। প্রথম আমরা সত্যিকার অর্থে স্বাধীন হয়েছি এই কারণে যে, একটা বিজাতী জোর করে এসে আমাদেরকে দখল করেছিলো ১৯০ বছর তারা আমাদের সবকিছু লুন্ঠন করেছে। আমাদেরকে দাসের মর্যাদায় নিয়ে গিয়েছিলো। সত্যিকার অর্থে এ দেশ ও মানুষের কোনো অধিকার ছিলো না। এ দখলদারদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করতে বহু মানুষ রক্ত দিয়েছে। সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করেছে। তাদের ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়েই আমরা পাকিস্তান পেয়েছিলাম। ভারতবাসী তারা ভারত পেয়েছিলো। যারা ত্যাগ কোরবানি করেছিলো আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
স্বাধীন হওয়ার পর আমরা আশা করেছিলাম যে, দেশে ইনসাফ কায়েম হবে। অর্থনৈতিক ভারসাম্য তৈরি হবে। কেউ পাঁচ তলায় আর কেউ গাছ তলায় এমনটি হবে না। মালিক-শ্রমিক সংঘাত হবে না। ২২ পরিবার তৈরি হবে না। বরং সম্পদের একটি সুষম বন্টন হবে। সামাজিক ন্যায় বিচার কায়েম হবে। মানুষ তার মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাবে। গায়ের চামড়া বা মুখের ভাষার ভিত্তিতে কোনো যোগ্যতা নির্ধারণ হবে না বরং তার মেধা ও যোগ্যতাই হবে মানদন্ড। কিন্তু আমাদের সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের দ্বারা আমরা শাসিত ও শোষিত ছিলাম। আমরা আমাদের অনেক ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম। ফলে ১৯৭০ সালে সাধারন নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ব্যাপকভাবে ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে বিজয়ী করেছিলো। তারা তখন ৯৪ ভাগ মানুষের সমর্থন লাভ করেছিলো। দুটি ছাড়া ১৬২ আসনের সবগুলোই তারা পেয়েছিলো। সংবিধান ও নিয়ম অনুযায়ী কথা ছিলো সংখ্যাগরিষ্ঠ দল সরকার গঠন করবে। কিন্তু পাকিস্তানিদের বাড়াবাড়ির কারণে এটা সম্ভব হয়নি। ফলে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হলো। সেই যুদ্ধ সংঘাতে বিপুল পরিমান মানুষ জীবন দিলেন। ইজ্জত সম্ভ্রম নষ্ট হলো। সম্পদ নস্ট হলো। দেশ পোড়া মাটির দেশে পরিণত হলো। এ জাতির প্রতিবাদি সন্তানরা তখন হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য হলো। সাড়ে ৯ মাস লড়াই হলো। লড়াইয়ের শেষ প্রান্তে এসে ভারত এবং রাশিয়া আমাদের সাথে যোগ দিলো। দেশ আবার স্বাধীন হলো।
এবার আমরা সবাই একই রকম। ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের ছোট দেশ। মানুষ আবার নতুন করে আশায় বুক বাঁধলো। সুষম বন্টনের স্বপ্ন দেখলো। কিন্তু তা হলো না। প্রথম সরকারের সাড়ে তিন বছরের শাসনে দেশটি তলাবিহীন ঝুড়ির স্বীকৃতি পেলো। রক্তের খেলা বন্ধ হলো না। স্বাধীন দেশে বহু মুক্তিযুদ্ধাকে জীবন দিতে হলো। বহু সাধারণ নাগরিককে জীবন দিতে হলো। বিনা বিচারে খুন হলো। মা বোনদের ইজ্জতের উপর হামলা আগের মতোই বহাল থাকলো। অন্যরা যা করলো আমরাও তাই করলাম। এমন একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি পার হয়ে আজ আমরা একটি অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছি।
এখন তাহলে কি চলছে ? এখনকি আমরা আদালতে ন্যায় বিচার পাচ্ছি। সম্পদের সুষম বন্টন হচ্ছে মা-বোনেরা কি ইজ্জতের গ্যারান্টি পাচ্ছে ? নিজ আবাসনে শান্তিতে ঘুমাতে পারছে ? তার সন্তানরা কি শিক্ষার সে সুযোগটা পাচ্ছে ? মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী কি কাজ পাচ্ছে ? সব জায়গায় উত্তর আসবে না। কেন ? এখন তো সব আমরাই। এখন তো কোনো বিজাতীয় লোকেরা এসে শাসন করছে না। এরা তো উড়ে এসে জুড়ে বসেনি আমাদের ঘাড়ের উপর। এদেশের মাটির সন্তানরাই এদেশে চালিয়েছে ও চালাচ্ছে। তাহলে সেই কাঙ্খিত সুখটা আমাদের অধরা কেন ?
যদি আমরা এসব কেন এর উত্তর খুজি তাহলে একটা জায়গায় তার নির্ভুল উত্তর আছে। প্রতিজনকে আল্লাহ তায়ালা একেক রকম যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। দিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন ভাষা। সকল সৃষ্টির উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। অন্যান্য সৃষ্টির একটাই কাজ আর তা হলো আল্লাহ তায়ালার দাসত্ব করা। এর বাইরে তাদের কোন কাজ নেই। কিন্তু দুনিয়াতে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে প্রতিনিধির মর্যাদা দিয়ে প্রেরণ করেছেন। প্রত্যেক নারী পুরুষই ব্যক্তিগতভাবে আল্লাহ তায়ালার প্রতিনিধি। একজন দূত যখন অন্য দেশে যায় তখন সেই দূতের চমৎকার নিরাপত্তা ও মর্যাদা থাকে। সুতরাং মহা বিশ্বের একচ্ছত্র মালিকের যে দূত তার মর্যাদা কতখানি! এ বিরল মর্যাদা আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে দান করেছেন। এ প্রতিনিধির দায়িত্ব শুধু মানুষের জন্য নয় বরং দৃশ্যমান সকল সৃষ্টি কুলের জন্য। একটি পিঁপড়াকেও অকারণে হত্যা করার অধিকার কারো নেই। মুখের ভাষা দিয়ে কাউকে কষ্ট দেয়া যাবে না। প্রতিবেশি ও আত্বীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করা যাবে না। কর্মস্থলে ডিউটি ফাঁকি দেয়া যাবে না। হালাল-হারাম আয় এক করে ফেলা যাবে না। নারীদের অসম্মান করা যাবে না। এমন বহু নির্দেশণা কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা প্রদান করেছেন। কুরআন শুধু না বুঝে পড়ার জন্য নয় বরং এটাকে বুঝে শুনে অনুসরণ করার জন্য।
মানুষই একজনের বড় পরিচয়। যার যার দায়িত্বের জায়গায় সবাই গুরুত্বপূর্ণ। আর শ্রমিকরা যা তৈরি করে তা সবাই ভোগ করে। তারা জানে কোনো কিছু তৈরি করা কত কঠিন। অথচ এ মানুষগুলোকে ন্যায্য পাওনা সময় মতো দেওয়া হয় না। শুধু ক্লিনাররা যদি কাজ বন্ধ করে দেয় তাহলে দেশ অচল হয়ে যাবে। সে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা সেই মর্যাদা দিতে পারছি না। আমরা উদ্যোক্তাদের বোঝাতে চাই, শ্রমিকের হাত বন্ধ হয়ে গেলে হাজার কোটি টাকার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মালিক শ্রমিকের সংঘাত বাধাতে চায় না। শ্রমিকের অবহেলায় যদি উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় তাহলে শ্রমিকের কর্মক্ষেত্র বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা শ্রমিক ভাইদের অন্তরে সেই অনুভূতি দিতে চাই যে, এটা তোমারও সম্পদ। একজন মালিক যদি শ্রমিকদের প্রতি ন্যায় বিচার করেন তাহলে আমরা তাকে সম্মান দেই সে যে ধর্মের বা মতেরই হোক না কেন। শ্রমিক অঙ্গনে সবার পরিচয় আমরা সবাই শ্রমিক। মনে রাখতে হবে, আমি রাষ্ট্র ও জনগণের জন্য সাহায্য করতে চাই। একইভাবে শ্রমিককেও সেভাবে সম্মান ও মর্যাদা দিতে হবে। অনেকেই নানা কায়দায় সম্মান ও মর্যাদা আদায় করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মানুষের জ্ঞান ও ক্ষমতা সীমিত। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা সকল অক্ষমতার উর্ধ্বে।
উপস্থিত ভিন্ন ধর্মের ভাই বোনদের বলতে চাই যে, আমরা আপনাদের ইসলাম গ্রহণের জন্য আজ বলছি না। তবে অবশ্যই বলতে হবে যে, কুরআন শুধু মুসলমানদের জন্য নয় বরং সমগ্র মানব জাতির জন্য সঠিক নির্দেশনা। তিনি যে ধর্মেরই হোক না কেন। আপনারা বোঝার চেষ্টা করুন। দেখুন এখানে মুক্তির পয়গাম আছে কি না ? যেটা ভালো লাগে সেটাই গ্রহণ করুন। কেউ চাপাচাপি করবে না।
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য। যা সুন্দর ও কল্যাণকর তা নিজে করবে এবং ক্ষমতা থাকলে অন্য কেউ করাবে। আর যা কুৎসিত অমঙ্গল তা ঠেকিয়ে দিবে যদি কর্তৃত্ব থাকে। না থাকলে কর্তৃত্ব অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। রাসূল (সা:) বলেছেন, আমার যুগ শ্রেষ্ঠ যুগ। আমি জাতিকে এমন একটি জীবন ব্যবস্থা ও রাষ্ট্র উপহার দিয়ে গেলাম যা ইয়েমেনের সানা থেকে মরক্কোর হাজারা মাওত পর্যন্ত এ হাজার মাইলের রাস্তায় একজন যুবতি তার সম্পদ ও সৌন্দর্য নিয়ে একাই সফর করবেন এবং এ সফরে আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে তার ভয় করার প্রয়োজন হবে না। আর আজ আমাদের ঘরে ঘরে মায়েরা থর থর করে কাঁপে। মা বোনদের ধর্ষণ করে যখন হত্যা করা হয়, নদী নালায় ফেলে দেয়া হয় তখন তার বুক ফাটা কান্নায় আল্লাহ তায়ালার আরশ থর থর করে কাঁপে। আমাদের আধুনিকতার অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু আমাদের নৈতিকতার বিপরীতে পাশবিকতার উন্নতি হয়েছে। এ পশুত্বকে দমন না করলে কোনো ধর্মের ভাষার মানুষ শান্তি পাবেনা। এসব থেকে রক্ষা করতে পারে শুধু আল্লাহ তায়ালার কাছে হিসেবের ভয়। মহান আল্লাহ তায়ালা কড়ায় গন্ডায় সব কিছুর হিসেব নিবেন। এমন নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ তৈরি করাই শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কাজ। এখানে মালিক শ্রমিককে ভাই বানিয়ে দেয়ার কাজ। কর্মীর হাতকে প্রোডাকশনের হাতে পরিণত করে দেওয়ার কাজ। যদি রাষ্ট্রে এটা প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে গাছতলা আর পাঁচ তলার পার্থক্য কমে আসবে। সবাই সমান হবে না। কিন্তু যার যার হক তাকে দেওয়া কর্তব্য। সব মানুষের দৃষ্টি, মনন, রুচি এক নয়। কিন্তু মানুষটি তার যোগ্যতা অনুযায়ী তার হক পাচ্ছে কি না সেটা বড় কথা। ইসলাম এটি চায়।
প্রিয় ভাইয়েরা
ট্রেড ইউনিয়ন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমেই শ্রমিকরা তাদের অধিকারের পাহারাধারী করে। কিন্তু আফসোসের বিষয়, বিভিন্ন রঙের পতাকা হাতে নিয়ে যারা ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন যুগের পর যুগ তাদের ভ্যাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি আহত ও সমস্যাগ্রস্থ শ্রমিকদের। তারা তাদের সহকর্মীদের সাথে প্রতারণা করেছেন। কারণ তাদের মধ্যে আল্লাহর ভয় ছিলো না।
আমি অন্তর দিয়ে অনুভব করি, এ অঙ্গন ছাড়া সমাজের চাকা অচল। দোয়া করি আমার সমাজ যেনো সেটা বুঝে। আমি বরিশালে যাওয়ার পথে ময়লার ভাগারের সামনে গাড়ি থামিয়ে কিছু বিরিয়ানির প্যাকেট কিনে সেই ময়লার ভাগারে কাজ করা মানুষদের কাছে গিয়ে সালাম দিই। কিন্তু তারা চার বারের মাথায় সালামের উত্তর দেয় এবং বিষ্ময়ের সাথে তাকিয়ে থাকে যেনো আমি পাগল। আমি তাদেরকে বিরিয়ানির প্যাকেট দিতে চাইলে তারা প্রথমে নেয়নি। অনুরোধের পর তারা নেয়। আমি তাদেরকে বার বার ভাই বলে সম্বোধন করলে তারা বলে যে, তাহলে আমরা মানুষ! আমাদেরকে তো সবাই মেঁথর ডাঁকে। মানুষ মনে করে না।
কি জবাব দিবো আল্লাহ তায়ালার কাছে। যে মানুষগুলো আমাদের পরিচ্ছন্ন রাখে তারা ভাবছে যে তাদের আমরা মানুষ মনে করি না। এটি দুর্ভাগ্য। আসুন আমরা সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই। আমার অঙ্গন, ট্রেড ইউনিয়নের জায়গাটাকে আমরা মানবিক মর্যাদা দিয়ে গড়ে তোলার চেষ্টা করি। আপনাদের সংগ্রাম বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ। পশুত্ব পরাজিত হবে এবং মানবতার বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা কুরআনের আলোকে সব সাজানোর চেষ্টা করি তাহলে এ পঁচা সমাজ বদলে দিয়ে একটি সুন্দর-সতেজ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। আমি এদেশের সন্তান এ পরিচয় দিয়ে আমরা শুকরিয়া আদায় করি। আপনাদের ঐ জগৎ বদলালেই সারা জগৎ বদলে যাবে। এর বিনিময়ে আখেরাতে আল্লাহ তায়ালার কাছে পুরস্কার পাবো। আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন। আমি আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া ও আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এখানেই শেষ করছি। রাব্বুল আলামিন আপনাদের স্বাস্থ্য, ভাগ্যে ও জ্ঞানে বারাকা দান করুন। আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
(প্রবন্ধ শিরোনামে লেখা হলেও এটি মূলত একটি বক্তব্য। গত ১৯ নভেম্বর’২১ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলনে ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা ডাঃ শফিকুর রহমান উপরিউক্ত বক্তব্য রাখেন)