বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাস্টার শফিকুল আলম বলেছেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে বন্যা দুর্গত মানুষদের সীমাহীন কষ্ট ভোগ করতে হয়। বিশেষত খেটে খাওয়া মানুষদের বন্যার কারণে সৃষ্ট দুর্ভোগ সীমাহীন কষ্ট দেয়। অনেক শ্রমিক ঘর-বাড়ি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। এই কঠিন দুর্দিনে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো সকলের একান্ত কর্তব্য। এক্ষেত্রে বন্যা দুর্গত শ্রমিকদের পুর্নবাসনে রাষ্ট্রকে উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি আজ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় পুর্নবাসন প্রকল্পের অংশ হিসেবে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা দুর্গত শ্রমজীবীদের জন্য গৃহ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য সহায়তা প্রদান কালে এসব কথা বলেন। এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুর্নবাসন সম্পাদক খান গোলাম রসুল, সিলেট মহানগর সভাপতি এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু, মৌলভীবাজার জেলার প্রধান উপদেষ্টা আব্দুর রহমান, সিলেট অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা ফারুক আহমদ, মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন শাহ, সিলেট জেলা দক্ষিণের সভাপতি ফখরুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিত প্রমুখ।
শফিকুল আলম বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি চলছে। দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তারা আজ অনাহারে অর্ধাহারে জীবন অতিবাহিত করছে। অন্যদিকে করোনার কারণে অসংখ্য শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এর সাথে যোগ সিলেটের আকষ্মিক বন্যা। এই বন্যায় অসংখ্য মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিল। বন্যায় তাদের ঘর-বাড়ি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা শেষ হলেও এসব শ্রমিকদের দুর্ভোগ শেষ হয়নি। তাদের খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হচ্ছে। এই সকল শ্রমিকদের মানবেতর জীবন থেকে উদ্ধারের জন্য আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষত সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার জন্য আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তি উদ্যোগে সকল শ্রমিকদের কাছে সহায়তা পৌঁছানো দুস্কর। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের পক্ষে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানো অনেক সহজ। আর শ্রমিক সচল না থাকলে রাষ্ট্র অচল হয়ে পড়বে। তাই রাষ্ট্রকে সচল রাখার তাগিদে শ্রমিকদের জীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে রাষ্ট্রকে উদ্যোগী হতে হবে। আমরা সরকারের কাছে স্পষ্টভাষায় দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে বন্যা দুর্গত শ্রমিকদের ঘর-বাড়ি সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্ধ দিতে হবে। কর্মহীন শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। দিনে এনে দিন খাওয়া শ্রমিকদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।
