বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান আজ এক যৌথ বিবৃতিতে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্নস্থানে আন্দোলনরত চা-শ্রমিকদের আন্দোলনে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন। একই সাথে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের দেশের চা শ্রমিকরা যুগের পর যুগ ধরে শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় আজ তারা আন্দোলনে নেমেছে। আমরা মনে করি তাদের প্রতিটি দাবি যৌক্তিক এবং অবিলম্বে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য মালিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, চা শিল্প শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশে^র শীর্ষ দশটি দেশের একটি দেশে পরিণত হয়েছে। চা মালিকরা প্রচুর অর্থ-সম্পদের মালিক বনে গেছে। কিন্তু চা-শ্রমিকদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। আজকের যুগেও চা-শ্রমিকদের দাসের জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। বর্তমান বাজারে কোনভাবেই একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা হতে পারে না। এটি অমানবিক ও শোষণের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে আজ চাল-ডাল-তেল হতে শুরু করে সকল নিত্যপণ্যের দাম আজ আকাশ ছোঁয়া। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষরা আজ অনাহারে-অর্ধাহারে জীবন অতিবাহিত করছে। অথচ শ্রমিকের শ্রমে যারা অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে তারা বিলাসী জীবন-যাপন করছে। একটি দেশে এই দুইনীতি কোনভাবে চলতে পারে না। আমরা চাই শ্রমিকের শ্রমে উৎপন্ন পণ্যে শ্রমিকের মুনাফা নিশ্চিত করতে হবে। দেশে সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় শ্রমিকরা আজীবন শোষিত থেকে যাবে।
চা-শ্রমিকদের মজুরি ১২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান বাজারের চাহিদা অনুযায়ী একজন শ্রমিকের ন্যূনতম বেতন হওয়া উচিত ৫০০ টাকা। তারপরও চা শ্রমিকরা তাদের বেতন সময়ের বাস্তবতায় অনেক কম চেয়েছে। আমরা মনে করি চা শিল্পের সংকট নিরসনে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার মধ্যে কল্যাণ রয়েছে। তাই আর বিলম্ব না করে মালিকদের উচিত এই দাবি মেনে নেওয়া।