আতিকুর রহমান একজন সুপরিচিত শ্রমিক নেতা। তিনি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন সাবেক ছাত্রনেতা ও ঢাকা জর্জ কোর্টের আইনজীবী।
পারিবারিক জীবন:
আতিকুর রহমান ১৯৮৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার অন্তর্গত ১নং উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল অফিসার ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক।
শিক্ষা জীবন:
আতিকুর রহমান বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল, আলিম, ফাজিল ও ডাবল কামিল (হাদিস ও ফিকহ্) কৃতিত্বের সম্পন্ন করেন। তিনি প্রাইমারী বৃত্তি পরীক্ষায় লাভ করেন। ফাজিল পরীক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় ১৮তম স্থান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ পরীক্ষায় জাতীয় মেধা তালিকায় ৮ম স্থান, এমএ পরীক্ষায় ২০তম স্থান অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) থেকে এম বি এ (এইচআরএম) ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন। সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ‘বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতিতে মতবিরোধ : ঐক্য প্রক্রিয়া’ শীর্ষক এমফিল গবেষণা শেষ করেন। যা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
ছাত্র রাজনীতি:
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। তিনি বিভিন্ন মেয়াদে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বাড্ডা থানা সেক্রেটারী, সভাপতি, ঢাকা মহানগরী উত্তরের অফিস সম্পাদক, সেক্রেটারী, সভাপতি, কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বপালন করে ২০১৪ ও ২০১৫ সেশনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল মনোনীত হন। ২০১৬ সেশনে তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে বিদায় গ্রহণ করেন।
কর্মজীবন:
ছাত্রজীবন শেষ করে তিনি ঢাকা জজকোর্টে আইনজীবী হিসেবে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। এবং বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতিতে ঐক্য প্রক্রিয়ার উপর গবেষণা কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
রাজনীতি ও শ্রমিক আন্দোলন:
২০১৭ সালে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনে যোগদান করেন। তিনি শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বাড্ডা থানা সভাপতি, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য হিসেবে ২০১৭-২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম:
ছাত্রজীবন থেকে তিনি বিভিন্ন বিষয়ের উপরে প্রবন্ধ, নিবন্ধ লিখে আসছেন। তিনি বিভিন্ন পত্রিকা সম্পাদনার কাজে বিভিন্ন সময় নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন এবং বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি শিশু-কিশোরদের জনপ্রিয় মাসিক ম্যাগাজিন নতুন কিশোর কণ্ঠের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক। তার লেখা বিভিন্ন প্রবন্ধ দৈনিক সংগ্রাম, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, ছাত্র সংবাদ ও শ্রমিক বার্তায় প্রকাশিত হয়। বর্তমানে তিনি দ্বি-মাসিক শ্রমিক বার্তা পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
শিক্ষা প্রসার ও উন্নয়নে ভূমিকা:
শিক্ষার প্রসার ও উন্নয়নে তিনি বিভিন্ন সময়ে শিক্ষামূলক কার্যক্রম, বৃত্তি প্রকল্প, ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রাম, দরিদ্র ছাত্রদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান ও আর্থিক সহযোগিতার কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। ইসলাম ও নৈতিকতা বিরোধী শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে জনমত তৈরি ও রাজপথের আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন।
সামাজিক কার্যক্রম:
আতিকুর রহমান বিভিন্ন সামাজিক ও ছাত্রকল্যাণ মূলক কার্যক্রমের সাথে ছাত্রজীবন থেকেই নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি নিম্নোক্ত সামাজিক ও ছাত্রকল্যান মূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্ন সময়ে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
১। সাবেক পরিচালক, দ্যা স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
২। সাবেক চেয়ারম্যান, কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশন।
৩। সাবেক চেয়ারম্যান, ইসলামিক হ্যারিটেজ ফাউন্ডেশন।
৪। সেক্রেটারী, লক্ষ্মীপুর ফোরাম, ঢাকা।
