উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় বিপর্যস্ত কৃষক। ধান, পেয়াজ, পাটসহ উৎপাদিত সকল পন্যের ন্যায্য মূল্য থেকে কৃষকরা আজ সকল দিক থেকে বঞ্চিত। বর্তমানে পেয়াজের ভরা মওসুমে পেয়াজ আমদানির কারণে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় দেশের কৃষকরা ভবিষ্যতে ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম।
গতকাল ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত বার্ষিক সেক্টর দায়িত্বশীল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের পরিচালনায় এসময় অন্যান্য দায়িত্বশীলদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, গোলাম রাব্বানী, মাষ্টার শফিকুল আলম,কবির আহমেদ, মজিবুর রহমান ভূইয়া, মনসুর রহমান, সহ-সাধারাণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর হুসাইন ও আব্দুস সালাম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্য তিনি বলেন, দেশে এখন পেয়াজের ভরা মওসুম। দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই৷ এর মধ্যেই সরকারের সিদ্ধান্ত পহেলা জানুয়ারি থেকে পেয়াজ আমদানি শুরু হওয়ার ফলে বিপদে পরে যায় দেশের পেয়াজ উৎপাদনকারী লাখ লাখ কৃষক। যা কৃষকের জন্য সুখবর নয়।তিনি বলেন সরকারে আত্নঘাতি সিন্ধান্তের কারণে আমাদের সম্ভাবনাময় পাঠ শিল্প ধ্বংসের দিকে এগুচ্ছে।বিশ্বব্যাপী পাটের চাহিদা থাকার পরেও সরকারি পাটকল গুলো আধুনিকায়ন না করে বন্ধ করে দেয়ায় একদিকে যেমন রপ্তানির সুযোগ হাতছাড়া হলো,তেমনি ভাবে ক্ষতি হয়েছে কর্মসংস্থানের,দেশের অর্থনীতির। যা ছিলো জাতির জন্য আত্নঘাতি।
তিনি দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতিতে উদ্ব্যেগ জানিয়ে বলেন,দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কারণে শ্রমজীবী মানুষসহ মধ্যবিত্ত শ্রেনীর নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশের দ্রব্য মূল্য পরিস্থিতি এখন শ্রমিকদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।যার কারণে নিম্নমধ্যবিত্ত ও শ্রমিকদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। তিনি দ্রব্যমূল্যে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, কৃষকদের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তিই আসল সমস্যা। সরকার এ বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করবেন ততই দেশ ও জাতির কল্যাণ। এতে করে কৃষক যেমন ন্যায্য মূল্য পাবেন, তেমনি ভোক্তারাও প্রত্যাশিত মূল্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কিনতে পারবেন। তাই সরকার কে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষি পন্যের ন্যায্য মূল্য ও দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে আহবান জানান।