বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান আজ এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় গতকাল মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগর উত্তর কর্তৃক আয়োজিত র্যালি থেকে ১৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতা দিবসের র্যালি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ স্বাধীনতার মর্যাদাকে কলঙ্কিত করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতা দিবস কোন একক ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর নিজস্ব সম্পদ নয়, এটি প্রতিটি বাংলাদেশী নাগরিকের পালনের অধিকার রয়েছে। কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি ক্ষমতাশীন সরকার জাতীয় দিবসগুলোকে নিজেদের একক সম্পদ পরিণত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই দিনগুলিতে সরকার ভিন্ন মতের কিংবা অন্যকোন পেশাজীবী সংগঠনকে রাজপথে নামতে দিতে চাচ্ছে না। তার অংশ হিসেবে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালনে বাধা দিয়েছে। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এই দেশের মেহনতি শ্রমজীবী মানুষের প্রাণপ্রিয় সংগঠন। এই সংগঠন শ্রমিকের আদায়ের পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অটুট রাখতে সদা জাগ্রত রয়েছে। আমরা মহান স্বাধীনতার চেতনা লালনের পাশাপাশি দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি। এমন একটি সংগঠনের স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিবে তা এই দেশের মানুষ কল্পনাও করতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে ক্ষান্ত থাকেনি। থানা হেফাজতে তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। ২ জন নেতাকর্মীর হাত ও পা ভেঙে দিয়েছে। যা আইনের শাসন ও মানবাধিকারের চরম পরিপন্থি। পুলিশি নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীরা উঠে দাঁড়ানোর মতন অবস্থায় না থাকলেও আদালত তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আরেক দফা নির্যাতনের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমরা অবিলম্বে পুলিশি রিমান্ড বাতিল পূর্বক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নেতাকর্মীদের মুক্তির জন্য রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।