বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধারা ছিল অগ্রসেনানী। তারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সকল বাঁধা-বিপত্তি পেরিয়ে বিজয়ের সূর্য ছিনিয়ে এনেছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের কাঙ্খিত স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি।
তিনি আজ বুধবার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত মহান স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, গোলাম রাব্বানী, কবির আহমদ, মুজিবুর রহমান ভ‚ঁইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি মহিবুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন প্রমুখ।
শামসুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে স্বাধীনতার ৫০টি বছর অতিক্রান্ত করেছে। যে আশা স্বপ্ন নিয়ে বীর বাঙালিরা স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তা আজ অনেকটা ফিকে। পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর নির্মম নির্যাতন, প্রতিটি ক্ষেত্রে বাঙালিদের শোষণ, নিপীড়ন থেকে বেরিয়ে এসে একটি স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়াই ছিল প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার লালিত স্বপ্ন। যে স্বপ্নের জন্য নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিতে তারা কুন্ঠাবোধ করেনি। আজ রণাঙ্গনের যোদ্ধাদের দীর্ঘশ্বাসে বাংলার আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। যে ত্যাগ তিতিক্ষা নিয়ে তারা দেশকে স্বাধীন করেছে সেই দেশে আজ নেই মানুষের বাক স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার ও বেঁচে থাকার সুষ্ঠু পরিবেশ। এখনো অসংখ্য মানুষকে একমুঠো ভাতের জন্য নির্মম লড়াই করতে হয়। শাসকগোষ্ঠীর শোষণে নিপীড়ত হাজারও মানুষ। রাজনৈতিক অধিকারের জন্য কারারুদ্ধ অসংখ্য রাজবন্দি। প্রশাসনের দ্বারা গুম নির্যাতন ঘটছে অহরহ। এটি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে কখনো কাঙ্খিত ছিলনা।
তিনি আরো বলেন, আমরা একটি সত্যিকার অর্থে উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। যে দেশে থাকবে না কোন জাতিগত বিভেদ। সকল ধর্মের মানুষ এক দেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করবে। রাজনৈতিক দল করার ও গড়ার থাকবে সমান সুযোগ। সকল মানুষের বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র হবে অগ্রগামী। ক্ষুধা মুক্ত ও সবার জন্য শিক্ষা, বাসস্থান নিয়ে গঠিত হবে স্বপ্নের বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে আগত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন এবং বর্তমান প্রজন্মকে তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার উদাত্ত আহবান জানান।