বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান আজ এক যৌথ বিবৃতি বলেছেন, সরকারের অব্যাহত লুটপাট, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে বাংলাদেশ আজ এক চরম দুঃসময় চলছে। সরকার তার ব্যর্থতার দায় জনগণের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। একের পর এক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি করে শ্রমজীবীসহ দেশের মানুষর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। দেশের মানুষের জন-জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জন্য অবিলম্বে জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নানা কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। এক মুখে বলছে দেশে কোন সংকট নেই। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের নিকট ঋণ পেতে ধরনা দিচ্ছে। ঋণদাতাদের নানা অযৌক্তিক শর্ত পূরণ করতে গিয়ে ইতোমধ্যে ইউরিয়া সারের বস্তা প্রতি তিনশ টাকা বৃদ্ধি করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে ৩৪-৪৬ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের মানুষ স্পষ্টত্ব মনে করে সরকার দলীয় লোকজনকে আরও দুর্নীতি ও লুটপাট করার সুযোগ দিতে ঋণদাতাদের সরকার ধরণা দিচ্ছে। এই ঋণের টাকা পূর্বের মত বিদেশে পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার সব কিছুর দাম বৃদ্ধি করে জনগণকে ঠুনকো অজুহাত দিচ্ছে। দেশের জনগণ তাদের এসব অজুহাত আর বিশ্বাস করে না। যখন বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমে ছিল তখন সরকার তেলের দাম কমানোর প্রয়োজনবোধ করেনি। কিন্তু এই সময়ে যখন বিশ্ব বাজারে তেলের দাম স্থিতিশীল তখন সরকার তেলের দাম বাড়িয়ে শুধু জন দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অযৌক্তিক সকল বর্ধিত মূল্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকারের সকল দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করে অতীতের সকল অপকর্মের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। অন্যথায় দেশের মানুষ এই সরকারের সকল জুলুম ও অপশাসনের বিরুদ্ধে অচিরে রাজপথে নেমে আসবে।