বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান আজ এক যৌথ বিবৃতিতে, সরকার কর্তৃক উন্মুক্ত মদের লাইন্সেস প্রদানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি দেশ। ইসলাম মদকে হারাম ঘোষণা করেছে। অথচ সরকার সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে উন্মুক্তভাবে মদের লাইন্সেস দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অন্তরে আঘাত হেনেছে। উন্মুক্ত মদের লাইন্সেস দিয়ে সরকার জাতিকে পথভ্রষ্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের এই জাতি বিদ্বেষী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার বিভিন্ন সময়ে জাতিকে পথভ্রষ্ট করার কূট-কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। উন্মুক্ত মদের লাইন্সেস দেয়ার সিদ্ধান্ত সেই ধারাবাহিকতার অংশ। আমরা বলতে চাই, সকল ধরনের মাদকদ্রব্য মানুষের নীতি-নৈতিকতা ধ্বংস করে। একই সাথে মানুষের দৈহিক ও মানসিক ক্ষতি সাধন করে। পরিবার ও সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা ঢেকে আনে। ইসলাম কল্যাণমুখি ধর্ম। তাই যা মানুষ ও রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে তা সম্পূর্ণরূপে হারাম করেছে। মদ তেমনই একটি নেশা জাতীয় পণ্য। ইসলামের বিধান মতে মাদক গ্রহণ হারাম ও অপবিত্র। রাসূল (সা.) বলেছেন, মদ্যপানকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন সময়ে ইসলামী বিধি নিষেধকে অবজ্ঞা করার চেষ্টা করেছে। তারা ইসলাম, ইসলামী শিক্ষা ও ইসলামী তাহযিব-তমদ্দুনকে ধ্বংসের পায়তারা করছে। ইসলামের বিধি-বিধান নিয়ে সরকার আত্মঘাতি খেলায় মেতে উঠেছে। আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, ইসলাম এদেশের মানুষের প্রাণপ্রিয় ধর্ম বিশ্বাস। ইসলামের ওপর অতীতে কোন আঘাত এসেছে কিন্তু মুসলমানরা ঘরে বসেছিল এমনটি ঘটেনি। বরং ইসলামের ওপর আসা প্রত্যেকটি আঘাতের সমুচিত জবাব দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ অতীতে বহুবার দিয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপনারা এই অযাচিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। অন্যথায় দেশের জনগণ আপনাদের অবৈধ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে।