বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খাঁন ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আজ এক যৌথ বিবৃতিতে গত বুধবার দিবাগত রাত ১ ঘটিকায় রাজধানী ঢাকার উত্তরা থেকে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলামকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তার নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো ভিত্তিহীন মামলা দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একই সাথে নেতৃবৃন্দ বলেন, গ্রেফতারের প্রায় ৩৬ ঘন্টা পর আদালতে তুলে বানোয়াট ও মিথ্যা মামলায় পুলিশি রিমান্ড চাওয়া আইনের শাসন ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আ ন ম শামসুল ইসলাম দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় সজ্জ্বন রাজনীতিবিদ ও সাবেক জাতিয় সংসদ সদস্য। এমন একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঠুনকো মামলা দিয়ে পুলিশি রিমান্ড চাওয়া ও আদালত জামিন বিবেচনা না করে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা সত্যিই দুঃখজনক।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গ্রেফতারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীকে আদালতে হাজির করতে দেশের উচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। আ ন ম শামসুল ইসলামকে গ্রেফতারের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেদের হেফাজতে ৩৬ ঘন্টার অধিক সময় রেখেছে। এতে স্পষ্ট হচ্ছে আ ন ম শামসুল ইসলাম অপরাধী নয় বরং সরকারের রাজনৈতিক হীন ষড়যন্ত্রের শিকার। আমরা সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, জনগণ আপনাদের ষড়যন্ত্র বুঝে গেছে। দেশ পরিচালনার সীমাহীন ব্যর্থতা আড়াল করতে ও শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে আপনারা নতুন খেলায় মেতে উঠেছেন। অবিলম্বে এই খেলা বন্ধ করুন। জনগণের নেতাকে জনতার মাঝে ফিরিয়ে দিন। অন্যথায় জনগণ তাদের নেতাকে ফিরিয়ে আনতে রাজপথে নেমে এসে আপনাদের ঘৃণ্য যড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত আছে। আমরা বিশ্বাস করি অচিরে আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। আ ন ম শামসুল ইসলামসহ সকল রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে জনতার মনের অবস্থা বুঝতে বাধ্য হবেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আ ন ম শামসুল ইসলাম দেশমাতৃকার সমৃদ্ধ ও উন্নতির জন্য আজীবন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এমন একজন সজ্জ্বন রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা নিতান্ত হাস্যকর বলে আমরা মনে করি। আমরা প্রত্যাশা করি মাননীয় আদালত সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে আ ন ম শামসুল ইসলামের রিমান্ড বাতিল ও আশু মুক্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।