বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা ডা. শফিকুর রহমানকে রাতের আধাঁরে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান। আজ এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ডা. শফিকুর রহমানকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গতকাল ১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১ টায় কোন ধরনের গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াই বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা ডা. শফিকুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রাতের আধাঁরে এমন একজন সজ্জ্বন রাজনীতিবিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ তার সকল সাংবিধানিক অধিকার হরণ করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। জনগণ যখন অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে এসেছে তখন সরকার আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে একের পর এক বিরোধীদলগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের পথ বেছে নিচ্ছে। আমরা সরকারের অপকর্মের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে আরও একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। সরকার ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মত আরও একটি কারচুপির নির্বাচনের চেষ্টা করছে বলে দেশের জনগণ মনে করে। জনগণ তাদের সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের জন্য অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে এখন ঐক্যবদ্ধ। জনগণ যেকোন মূল্যে তাদের অধিকার আদায় করার জন্য দলমত ভুলে রাজপথে নেমে এসেছে। সরকার মনে করছে বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করলে এই আন্দোলন থমকে যাবে। আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই জনগণকে আর কোন ভয়-ভীতি দেখিয়ে রাজপথ থেকে ফিরানো যাবে না। জনগণ এবার তাদের অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবে।
নেতৃবৃন্দ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, হামলা-মামলা গ্রেফতার করার এই অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন। অবিলম্বে ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিসহ বিরোধী জোটের দশ দফা দাবি মেনে নিন।