No Result
View All Result
English
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন
  • হোম
  • সংগঠন
    • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
    • লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
    • কর্মসূচি
    • গঠনতন্ত্র
    • সাবেক সভাপতিবৃন্দ
    • সাবেক সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ
  • সংগঠন অবকাঠামো
    • সাংগঠনিক স্তর
    • কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ
    • কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী পরিষদ
    • অঞ্চল
    • মহানগরী
    • জেলা
    • উপজেলা
  • ট্রেড ইউনিয়ন
    • জাতীয় ইউনিয়ন
    • ক্রাফট ফেডারেশন
    • বেসিক ইউনিয়ন
  • কার্যক্রম
    • বিভাগীয় কার্যক্রম
      • ট্রেড ইউনিয়ন
      • শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
      • সাহায্য ও পুনর্বাসন
      • সংস্কৃতি
      • শ্রমিক সেবা
      • সমাজকল্যাণ
      • সংগঠন ও রাজনীতি
      • স্বাস্থ্যসেবা
      • আইন ও মানবাধিকার
      • পরিবেশ ও কৃষিউন্নয়ন
      • যুব ও ক্রীড়া
      • আন্তর্জাতিক
    • সেক্টর ভিত্তিক কার্যক্রম
      • পরিবহন
      • গার্মেন্টস
      • কৃষি
      • রিক্সা ভ্যান
      • নৌ-পরিবহন
      • স্থল বন্দর
      • চাতাল
      • দর্জি
      • নির্মাণ শ্রমিক
  • প্রকাশনা
    • বই
    • সাময়িকী
    • পোস্টার
    • স্টিকার
    • লিফলেট
    • নববর্ষ
    • স্মারক
    • স্মরণিকা
  • গ্যালারি
    • ছবি
    • ভিডিও
  • সংবাদ
    • বিবৃতি
    • শোকবার্তা
    • সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
    • চলতি বিষয়
  • আর্কাইভ
    • প্রবন্ধ/নিবন্ধ
    • দারসুল কোরআন
    • দারসুল হাদিস
    • লাইব্রেরী
  • যোগাযোগ
  • হোম
  • সংগঠন
    • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
    • লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
    • কর্মসূচি
    • গঠনতন্ত্র
    • সাবেক সভাপতিবৃন্দ
    • সাবেক সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ
  • সংগঠন অবকাঠামো
    • সাংগঠনিক স্তর
    • কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ
    • কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী পরিষদ
    • অঞ্চল
    • মহানগরী
    • জেলা
    • উপজেলা
  • ট্রেড ইউনিয়ন
    • জাতীয় ইউনিয়ন
    • ক্রাফট ফেডারেশন
    • বেসিক ইউনিয়ন
  • কার্যক্রম
    • বিভাগীয় কার্যক্রম
      • ট্রেড ইউনিয়ন
      • শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
      • সাহায্য ও পুনর্বাসন
      • সংস্কৃতি
      • শ্রমিক সেবা
      • সমাজকল্যাণ
      • সংগঠন ও রাজনীতি
      • স্বাস্থ্যসেবা
      • আইন ও মানবাধিকার
      • পরিবেশ ও কৃষিউন্নয়ন
      • যুব ও ক্রীড়া
      • আন্তর্জাতিক
    • সেক্টর ভিত্তিক কার্যক্রম
      • পরিবহন
      • গার্মেন্টস
      • কৃষি
      • রিক্সা ভ্যান
      • নৌ-পরিবহন
      • স্থল বন্দর
      • চাতাল
      • দর্জি
      • নির্মাণ শ্রমিক
  • প্রকাশনা
    • বই
    • সাময়িকী
    • পোস্টার
    • স্টিকার
    • লিফলেট
    • নববর্ষ
    • স্মারক
    • স্মরণিকা
  • গ্যালারি
    • ছবি
    • ভিডিও
  • সংবাদ
    • বিবৃতি
    • শোকবার্তা
    • সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
    • চলতি বিষয়
  • আর্কাইভ
    • প্রবন্ধ/নিবন্ধ
    • দারসুল কোরআন
    • দারসুল হাদিস
    • লাইব্রেরী
  • যোগাযোগ
No Result
View All Result
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

শ্রমিক শ্রেণির মাঝে মাদকের ভয়ানক সয়লাব

মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান

অক্টোবর ৮, ২০২২
শ্রমিক শ্রেণির মাঝে মাদকের ভয়ানক সয়লাব
Share on FacebookShare on Twitter

প্রচণ্ড খড়তাপে কিংবা বাদলা দিনে রাস্তার ধারে ঝুপড়ি ঘরের আশে পাশে এক দল ছেলে-মেয়ের কিচির মিচির চিৎকার, অদূরে ইট ভাঙতে থাকা নারীর ঘর্মাক্ত দৃশ্য। কালো পিচের রাস্তায় শাই শাই করে চলা গাড়ির জন্য কার্পেটিংয়ের কাজে ব্যস্ত নারী। সূর্যোদয়ের পূর্বে টিফিন ক্যারিয়ার হাতে ছুটে চলা মানুষগুলো আবার দিন শেষে রাত করে ফেরা মানুষগুলোর প্রশান্তির ঘুমের পরিবর্তে কোনো কোনো নীড় যেন শান্তির বদলে অশান্তির দাবানল হয়ে ওঠে। সারাদিনের খাটুনির পর সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে সারি সারি ছোট টিনের ঘরের জানালা ভেদ করে আসা নারীর চিৎকার। নগর জীবনে এগুলো আমাদের অনেকের কাছেই চিরচেনা। প্রচণ্ড খড়তাপে শরীর পুড়িয়ে ছাই করা নারীর সারাদিনের পরিশ্রমের অর্থগুলো দুমুঠো চালের পরিবর্তে মাদকাসক্ত স্বামীর হাতে চলে যায় অনায়াসে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাধ্য হয়েই তারা যেন আত্মসমর্পণ করে মাদকাসক্ত স্বামী নামক এক জালেম পুরুষের কাছে। সময়ের বিবর্তনে এখন শুধু পুরুষ নয়, নারীরাও অনেক ক্ষেত্রে মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। তবে শ্রমিক শ্রেণির নারীদের মাঝে এর প্রবণতা কিছুটা কম হলেও মাদক ব্যবসায়ে বস্তিকেন্দ্রীক নারীদের বিরাট একটি জগৎ গড়ে উঠেছে। মাদক এবং মাদকাসক্ততার প্রশ্ন যখন আমাদের সামনে আসে তখন শুধু তরুণদের কথাই চলে আসে। তরুণ মানে একদল শিক্ষিত কিংবা অর্ধশিক্ষিত তরুণকে নিয়ে আমাদের ভাবনাগুলো ঘুরপাক খায়। কিন্তু জীবনের রক্ত পানি করা পরিশ্রমের অর্থগুলো অনায়াসে মাদক কেনার কাজে ব্যয় করে জীবন এবং সংসার দুটোই নষ্ট করে চলেছে একদল শ্রমিক। হ্যাঁ অবশ্যই এ শ্রমিকরা জীবনের শুরুতে যখন মাদকের নেশায় ডোবা শুরু করে তখন তারা তরুণই থাকে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণির মাঝে মাদকসক্ততা কোনো বয়স মানছে না। আজকের নিবন্ধে আমি শ্রমিকদের মাঝে মাদকের বিস্তার নিয়েই কথা বলবো।

ট্রেনের চাকার ঘর্ষণের শব্দগুলো যখন কারো কাছে বিরক্তিকর মনে হয় তখন তারই পাশে মনের সুখ মেটাতে দেখা যায় এক দল পুরুষ কিংবা মধ্য বয়সী কাপুরুষদের। জীবনের সব সুখ যেন ওরা খুঁজে পায় মাদকের এক চুমুকেই। রাজধানীর কারওয়ান বাজার বস্তি কিংবা রেল লাইন ধরে হাঁটতে থাকুন, আপনি দেখা পাবেন অসংখ্য মাদকসেবী আর মাদক বিক্রেতার। তাদের চোরা চাহনি আর লুকোচুরি বলে দেবে কোন অপরাধ প্রবণতায় তারা এখানে ব্যস্ত। মাদক কারবারী, মাদকসেবী আর এর ব্যবসায়ীদের অধিকাংশের বসবাস এক সময় শহরের বস্তি এবং নিম্ম এলাকায় থাকলেও তা এখন গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়েছে। অপরাধী আর পুলিশের লুকোচুরি খেলা, খালি চোখে ধরা পড়ে অনেকের কাছেই। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী রাজধানীতে পাঁচশরও বেশি মাদক স্পট রয়েছে। এসকল স্পটগুলো মাদক বিক্রেতা, মাদকসেবী, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত।

শহর থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাদকের বিস্তার জালের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এক সময় মাদক অর্থে শুধু মদ, গাজা, ভাঙ, মরফিন, কোকেন, আফিম এগুলোই বোঝাতো। দিন যতো যায় মাদকের প্রকার এবং নামে ভিন্নতা এনে নিত্য নতুন মাদক সামগ্রী বাজারে আনে মাদক ব্যবসায়ীরা। হিরোইন, ফেনিসিডিল, ইয়াবা ইত্যাদির সাথে মাদকের নিত্য নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আনছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তবে শ্রমিক শ্রেনির মাঝে তারি, মদ, ফেনিসিডিল, ইয়াবা এবং গাজার ব্যবহার বেশি হয়। রাজধানীর অধিকাংশ বস্তি মাদকসেবী এবং ব্যবসায়ীদের মূল আখড়া। অধিকাংশ রিক্সা গ্যারেজ, বাস স্ট্যান্ড, ট্রাক স্ট্যান্ড এবং শ্রমিক মেসগুলোতে মাদকসেবীদের আড্ডা চলে দিন-রাত সব সময়। এতে যেমন পাড়া-মহল্লার মাস্তান, চাঁদাবাজ আর সন্ত্রাসীরা আছে একইভাবে তাদের সাথে সঙ্গী হয় বিভিন্ন পেশার শ্রমিকরা। সারাদিন পরিশ্রম করে যে কয়টা টাকা উপার্জন করে মাদক সেবনে সেই টাকা ব্যয় করে গভীর রাতে খালি হাতে বাসায় ফেরে। ফলে এদের অধিকাংশের পরিবারে সব সময় অশান্তি লেগেই থাকে। ফলে পারিবারিক ভাঙন অপরিহার্য হয়ে ওঠে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এদের সন্তানদের লেখাপড়া হয় না, সন্তানগুলো বখে যায়।

শ্রমিক শ্রেণির বড়ো একটি অংশ মাদকের সাথে জড়িত হয়ে পড়ার কারণে তারা অল্প বয়সে কর্ম-অক্ষম হয়ে পড়ে। জীবন সম্পর্কে একদিকে যেমন তারা হতাশায় ভোগে, একইভাবে পরিবার, সংসার, স্ত্রী, সন্তান কারো প্রতি তাদের কোনো আকর্ষণ এবং ভালোবাসা থাকে না। পরিবহন সেক্টরের শ্রমিকদের বড়ো একটি অংশ মাদক সেবনের সাথে এমনভাবে জড়িয়ে যায় যে তারা এঁকে জীবনের অন্যতম অনুসঙ্গ মনে করে। মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনার অনেকগুলো কারণের মধ্যে এটাও একটি কারণ যে ট্রাক ড্রাইভার, হেলপার এবং বাস চালকদের একটি বড়ো সংখ্যার মাঝে মাদকাসক্ততা। একজন পরিবহন শ্রমিক প্রতিদিন যা আয় করে তাতে একটি নিম্মবিত্ত আয়ের সংসারের অতি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সহজে মেটানো সম্ভব। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাদের পারিবারিক জীবনে যেমন শান্তি নেই, তেমনি অর্থ কষ্ট, খাদ্য কষ্ট লেগে থাকে সারা বছর। অর্থাভাবে সন্তানদের লেখাপড়ার কথা তাদের অনেকেই চিন্তাও করে না। মাদকাসক্ত না হয়ে পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করলে তাদের জীবন কত সাবলীলভাবে চলে যায়। কিন্তু এ বোধ এবং বুদ্ধি তখনই লোপ পায় যখন তারা মাদকের রাজ্যে ডুবে যায়।

মাদক এক নীরব ঘাতকের নাম। একজন মানুষের জীবনের সকল চাওয়া পাওয়া বিনাশ করে দেয় মাদকাসক্ততা। মাদক গ্রহণের ফলে একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্যহানিই শুধু হয় না, তার সকল প্রকার আগ্রহ উদ্দীপনা নিঃশেষ হয়ে যায়। জীবনীশক্তি হ্রাস পায়, শরীরের ইন্দ্রিয়গুলো তাকে সহায়তা কার পরিবর্তে বিরূপ আচরণ করে। চারপাশের মানুষের সাথে তার আচরণ হয় চরম অভদ্রজনিত। মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে সে এমন সব অনাকাক্সিক্ষত আচরণ করে যা তার চারপাশের মানুষেরা কল্পনা করে না। নিজ পেশায় জড়িত থাকলেও শুধু মাদকের জন্যই তখন অর্থের অনুসন্ধান করে। শ্রমিক শ্রেণির মাঝে এর যে বিরূপ প্রভাব দেখা দেয় তার প্রতিক্রিয়া হয় অত্যন্ত ভয়াবহ। নিজ সংসার সন্তান সব কিছুর দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত থাকে। স্ত্রী-সন্তানদের ওপর শারিরীক নির্যাতন করে। নিজে উপার্জন করার পরিবর্তে অনেক সময় স্ত্রীকে দিয়ে অমানুষিক পরিশ্রম করিয়ে তার উপার্জিত অর্থ হাতিয়ে নেয় মাদক সেবনের জন্য। মাদকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার মতো ভয়াবহ ঘটনাও আমরা মাঝে মাঝে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মাধ্যমে দেখি। এমনকি মাদকের অর্থের জন্য নিজ পিতা-মাকে হত্যার মতো ঘটনাও অহরহ ঘটছে।

অশিক্ষা, অজ্ঞতা, জীবনের উদ্দেশ্যহীনতা আর শৃঙ্খলাহীন জীবনাচার তাদেরকে অতি সহজে মাদক আর নেশার দিকে নিয়ে যায়। শ্রমিক শ্রেণির বিরাট একটি অংশের বসবাস এমন এক পরিবেশে যেখানে অতি সহজেই মাদকের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান, যাদের অধিকাংশের জীবনের শুরুতে কোনো শিক্ষার আলো পায় না, পারিবারিকভাবে কোনো নৈতিক শিক্ষা যাদের জীবনে ঘটে না এমন এক বিপুল সংখ্যক শিশু জীবন শুরু করে কঠিন পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে। তারা জীবনের শুরুতেই পূতিগন্ধময় এক অন্ধকার পরিবেশের সাথে পরিচিত হয়ে যায় অতি সহজে। সমাজের নানা অসঙ্গতি, অন্যায় অনাচার, অনাকাক্সিক্ষত আচরণ, বৈষম্য এবং মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন তাদেরকে মাদকের পথে ঠেলে দেয়। শ্রমিকদের অনেকেই বাধা-বন্ধনহীন জীবন যাপনে অভ্যস্ত। অতি সহজে তারা হাতের নাগালে মাদক পেয়ে যায়। সাংবাদিক, মাদক দ্রব্য অধিদপ্তর এবং পুলিশের তথ্য যা গণমাধ্যমে এসেছে তাতে দেখো গেছে, মাদক ব্যবসায়ের মূল কারিগররা মাদকদ্রব্য ধরে না, ছুঁয়েও না, তারা কেবল মধ্যস্থানে অবস্থানকারী লোকের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায় কোটি কোটি টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করে। তারা নিজে যেমন মাদকে সেবন থেকে দূরে থাকে নিজ পরিবার এবং সন্তান সন্তুতিকেও এ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে সব সময়। পুঁজি বিনিয়োগ করে লাভসহ তা উত্তোলন করাই তাদের কাজ। এ জন্য তারা কয়েকটি স্তরের সরবরাহকারী ও বিক্রেতা নিয়োগ করে। সীমান্ত এলাকা হতে দেশে আনা, পথে পথে হাত বদল, নিরাপদ স্থানে রাখা তা মাঠ পর্যায়ের বিক্রেতার কাছে পৌঁছানোর জন্য তারা এক সুবিশাল চেইন রক্ষা করে। তাই তারা বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। মধ্যস্থানীয় ব্যবসায়ীরাও পর্দার আড়ালে থেকে সুকৌশলে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। তারাই প্রশাসন ও রাজনৈতিক রাঘব বোয়ালদের ম্যানেজ করে। মাঠপর্যায়ে বিপণনের ব্যবস্থা করে স্থানীয় পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা। তারাই সব সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। কয়েকদিন জেল খেটে আবার এ পেশায় ফিরে যায়। মাঠ পর্যায়ের ক্রেতাদের অধিকাংশই শ্রমিক শ্রেণির এবং বিক্রেতারাও দারিদ্র এবং নির্দিষ্ট পেশায় কাজ করতে না পারার কারণে এদিকে ঝুঁকে পড়ে।

অশিক্ষা, অজ্ঞতা, জীবনের উদ্দেশ্যহীনতা আর শৃঙ্খলাহীন জীবনাচার তাদেরকে অতি সহজে মাদক আর নেশার দিকে নিয়ে যায়। শ্রমিক শ্রেণির বিরাট একটি অংশের বসবাস এমন এক পরিবেশে যেখানে অতি সহজেই মাদকের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান, যাদের অধিকাংশের জীবনের শুরুতে কোনো শিক্ষার আলো পায় না, পারিবারিকভাবে কোনো নৈতিক শিক্ষা যাদের জীবনে ঘটে না এমন এক বিপুল সংখ্যক শিশু জীবন শুরু করে কঠিন পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে। তারা জীবনের শুরুতেই পূতিগন্ধময় এক অন্ধকার পরিবেশের সাথে পরিচিত হয়ে যায় অতি সহজে। সমাজের নানা অসঙ্গতি, অন্যায় অনাচার, অনাকাক্সিক্ষত আচরণ, বৈষম্য এবং মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন তাদেরকে মাদকের পথে ঠেলে দেয়।

মাদক বিক্রির স্পট এবং মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রশাসনের কাছে আছে, তারা জানে কারা কোথায় মাদক বিক্রি করে। মাঝে মাঝে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারও করে। কিন্তু মাদক ব্যবসা এবং এর ব্যবহার কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। সারাদেশে মাদক সরবরাহের বিভিন্ন রুট থাকলেও সীমান্ত হতে মাদক প্রথমে রাজধানীতে আসে, এখান হতে আবার সারাদেশে জালের মতো ছড়িয়ে থাকা তাদের নির্দিষ্ট পথে এগুলো মাঠ পর্যায়ে সরবরাহ করে। রাজধানীতে মাদক প্রবেশের মূল রুট হচ্ছে গাবতলী, টঙ্গীর আবদুল্লাহপুর, নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এবং তারাবো। রাজধানীর উল্লেখযোগ্য মাদক বিক্রি এবং সরবরাহের মূল স্পটগুলো বড়ো বড়ো বস্তি কেন্দ্রীক। টঙ্গীর দত্তপাড়া, মহাখালী সাত তলা বস্তি, কারওয়ান বাজার, বাড্ডা-ভাটারা, মালিবাগ, মগবাজার বস্তি, চনপাড়া, নামাপাড়া, বুড়িগঙ্গা ব্রীজের পাশ ঘেষা বস্তি, আশুলিয়া বেড়িবাঁধ মাদক সরবরাহের মূল স্পট। এর বাইরে ঢাকা শহরে কমপক্ষে হাজার খানেক স্পটে মাদক কেনাবেচা হচ্ছে নিয়মিত। এ সকল স্পটে মূলত শ্রমিক শ্রেণির মানুষগুলোই বসবাস করে। রাত বাড়ার সাথে এ সকল বস্তি এবং এলাকাগুলোতে অন্য রকমের এক পরিবেশ তৈরি হয়। যারা মাদক ও নেশা হতে দূরে থাকতে চায় অনেক সময় তাদের পক্ষে এ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয় না। অল্প আয়ের দরিদ্র মানুষগুলো যেখানে বসবাস করে মাদকসেবীরা সেই স্থানকেই তাদের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা মনে করে। কোনো রকম বেঁচে থাকার তাগিদে তারা অসহায়ের মতো এগুলো সহ্য করে। অতি কষ্টে কেউ মাদকের ছোবল থেকে বেঁচে থাকতে পারে আবার কেউ এর শিকারে পরিণত হয়। যার কারণে শ্রমিক শ্রেণির মাঝে মাদক গ্রহণের প্রবণতা বেশি।

মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে অনেক সময় দেখা যায় পুরুষের চেয়ে নারীরাও কম নয়। কারণ পুরুষ মানুষকে যতো সহজে সন্দেহ করা হয় নারীদের ততো সহজে সন্দেহ করা হয় না, তাকে তল্লাশী করার কাজটি সহজ নয়। এ জন্য মাদক ব্যবসায়ে পুরুষের সাথে নারীরাও সমানতালে এ ব্যবসায়ে জড়িত। মিডিয়ার পাতায় বার বার নাম আসা মাদক সম্রাজ্ঞী মোমেলা বেগম থাকেন বস্তিতে কিন্তু তিনি চারটি বহুতল ভবনের মালিক। প্রতিবার গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে মুক্ত হয়ে আবার সোজা চলে যান বস্তির আখড়ায়। বর্তমানে কারাগারে আটক যুবলীগ নেত্রী পাপিয়ার পাপের কথা সবারই জানা। এমন শত পাপিয়ার রাজত্ব রয়েছে মাদক সিন্ডিকেটের অভ্যন্তরে। রাজধানীর গোপীবাগের আয়েশা, গুলশানের মাদক সম্রাজ্ঞী মৌ, রিনা, ন্যান্সি, কুমকুম ও বানু সম্পর্কে বিভিন্ন মিডিয়ায় বার বার সংবাদ এসেছে। তেজগাঁও এলাকার মাদক সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণও ৪/৫জন মাদক সম্রাজ্ঞীর হাতে। অভিজাত এলাকা বনানীর মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে আইরিন ওরফে ইভা, উত্তরার গুলবাহার, নাদিয়া ও মাহমুদা। রাজধানীর টিএন্ডটি সংলগ্ন কড়াইল বস্তির ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে রিনা ও জোসনা। এভাবে দেশের জেলা শহরগুলোতেও কোনো কেনো ক্ষেত্রে নারীরা ব্যবহৃত হচ্ছে মাদক ব্যবসায় আবার কখনো নারী মাদক ব্যবসায়ী হয়ে উঠছে নিয়ন্ত্রক।

মাদকসেবীদের মাদক সরবরাহ করে খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের কাছে মাদক সরবরাহ করে মধ্যম মানের মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ওপরে আবার আরও বড়ো বড়ো সিন্ডিকেট রয়েছে। রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয়ে মাদকের বিস্তার বাড়ছে এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কক্সবাজারের একজন সাবেক সংসদ সদস্যের নামের সাথে ইয়াবা উপাধি যুক্ত করা হয়েছে। এমনকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় এই সাবেক আইন প্রণেতার নাম শীর্ষে রয়েছে। খোদ রাজধানীতে বেশ কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নাম বার বার গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। অতি সম্প্রতি মুন্সীগঞ্জের একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার রহস্য আবিষ্কার হয়েছে তার মাদকের বিশাল গোডাউন আবিষ্কার হওয়ার পর। ক্ষমতাসীন দলের থানা এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতার নাম বার বার উচ্চারিত হয় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে। রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয়ে মাদকের বাজার যখন বিস্তার লাভ করে তখন এর সাথে প্রশাসনের সম্পর্কটা অস্বীকার সুযোগ কমে যায়। প্রশাসন সামগ্রিকভাবে মাদক বিরোধী অভিযানে ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু পুলিশ, র‌্যাব এবং বিজিবি সদস্যদের কেউ কেউ প্রায়ই চাকুরিচ্যুত হয় মাদক সংশ্লিষ্টতার কারণে। রাজনৈতিক নেতা, মাদক ব্যবসায়ী আর প্রশাসনের ত্রিমাত্রিক সম্পর্কের এ গাটছাড়া অবশ্যই ভেঙে ফেলতে হবে।

মাদকের ভয়াবহ ছোবলে আক্রান্ত্র গোটা পৃথিবী। কোনো দেশ, অঞ্চল কিংবা পেশার মধ্যে এর ছোবল সীমাবদ্ধ নেই। নানান সমস্যায় নিমজ্জিত বাংলাদেশে ভয়াবহভাবে মাদকের আক্রমণে জর্জরিত। ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ মাদক পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক সমীক্ষায় দেখা যায় বাংলাদেশে মাদকাসক্ত বৃদ্ধিও হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের প্রায় দ্বিগুণ। এর মধ্যে শ্রমিকদের সংখ্যা কম নয়। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রয়েছে, পুলিশের রয়েছে পৃথক টাস্কফোর্স। প্রায়ই সারাশি অভিযান পরিচালনা করা হয় কিন্তু এর ব্যবসা এবং মাদক সেবনকারীর সংখ্যা কমছে না। মাদক মামলায় কারাগারে গিয়ে সেখানে বসে মাদক সেবন করার ঘটনাও ঘটছে। কারারক্ষীরা পর্যন্ত মাদক সরবরাহের কারণে চাকুরিচ্যুত হয়েছে এমন নজির রয়েছে বেশ কয়েকটি। এমনকি মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে গ্রেফতার হওয়ার পর সেখানে বসে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা হয় এমন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। একই ব্যক্তি মাদকের মামলায় বার বার গ্রেফতার হয় আবার একই পেশায় কিংবা অভ্যাসে নিজেকে নিয়োজিত রাখছে। সীমান্ত এলাকায় যাদেরকে মাদক পরিবহন এবং ব্যবসার কাজে ব্যবহার করা হয় তাদের অধিকাংশই অত্যন্ত দরিদ্র শ্রেণির। অতি দরিদ্র শ্রেণির কৃষক এবং শ্রমজীবী মানুষগুলোকে এ কাজে ব্যবহার করা হয়। একজন শ্রমিক সারাদিন পরিশ্রম করে দিনে যেখানে ৪/৫শ টাকা আয় করতে পারে সেখানে এসব শ্রমিকদের দিনে হাজার টাকা কিংবা কোনো চালান পৌছে দিতে পারলে তাকে ৪/৫ হাজার টাকার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এ কাজে নিয়োগ করা হয়। সীমান্ত এলাকার শ্রমজীবী মানুষগুলো এভাবে মাদকের প্রতি ঝুঁকে পড়ে।

বাংলাদেশে কি পরিমাণ মাদক কেনা বেচা হয় তার একটি তথ্য দিয়েছে দৈনিক যুগান্তর। তাতে বলা হয়েছে, গত ১২ বছরে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে ২২ কোটি ৩০ লাখ ৭৪ হাজার ১৯১ পিস। সর্বোচ্চ উদ্ধার হয় ২০১৮ সালে ৫ কোটি ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৮টি এবং সর্বনি¤œ উদ্ধার হয় ২০০৯ সালে ১ লাখ ৩২ হাজার ২৮৭ পিস। হেরোইন উদ্ধার হয় ২ হাজার ৫৪৫ কেজি। সর্বোচ্চ উদ্ধার হয় ২০১৮ সালে ৪৫১.৫ কেজি ও সর্বনি¤œ ২০১৪ সালে ৭৮.৩ কেজি। কোকেন উদ্ধার হয় ৪৫.৬৯ কেজি। এর মধ্যে ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ ১১.৬২ কেজি ও ২০১১ সালে সর্বনি¤œ শূন্য দশমিক ৪৭ কেজি। ২০০৯ সালে আফিম উদ্ধারের ঘটনা না থাকলেও ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ ৯১.২২ কেজি উদ্ধার হয়েছে। এক যুগে মোট আফিম উদ্ধার হয়েছে ২১৭.৩৯ কেজি। গাঁজা উদ্ধার হয়েছে ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮৯২ কেজি। ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ ৬৯ হাজার ৯৮৯ কেজি এবং ২০১৯ সালে সর্বনিম্ন ৩২ হাজার ৬৫৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়।

এই সময়ে ফেনসিডিল উদ্ধার হয় ১ কোটি ৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৮ বোতল। ২০০৯ সালে সর্বোচ্চ ১১ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৪ এবং ২০১৬ সালে সর্বনি¤œ ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫২০ বোতল উদ্ধার হয়। এর বাইরে ২২ হাজার ৪৩০ লিটারেরও বেশ ফেনসিডিল উদ্ধার হয়। বিদেশি মদের বোতল উদ্ধার হয় ২১ লাখ ২৬ হাজার ১৯৭টি। ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২২ হাজার ৫৮৯ এবং ২০১০ সালে সর্বনিম্ন ১৬ হাজার ৫২৭টি উদ্ধার হয়। এর বাইরে উদ্ধার হয় ৯ হাজার ৮৭ লিটার বিদেশি মদ। এই সময়ে ইঞ্জেকটিং ড্রাগ (অ্যাম্পুল) উদ্ধার হয় ১৪ লাখ ৩১ হাজার ১১টি। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ধারাবাহিকভাবে মাদকের বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে ইয়াবা ৪০ হাজার গুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯ সালে ৫ কোটি ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৮ পিস হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় মামলা ১ লাখ ছাড়িয়েছে। এরপর আর তা লাখের নিচে নামেনি।

সমাজ বিনির্মাণে শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য। গোটা সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় শ্রমিক শ্রেণির হাতের ছোয়া ব্যতীত সমাজ এবং রাষ্ট্র অচল। অর্থনীতির চাকা সচল রাখথে তারাই মূল শক্তি বিনিয়োগ করে। রাস্তা, ঘাট, কল-কারখানা, বাজার, দোকান, স্থল, নৌ ও সমুদ্র বন্দরে বাণিজ্যিক পণ্য আনা নেওয়া করা, পরিবহন খাত থেকে শুরু সুরম্য প্রাসাদ কিংবা স্বপ্নের সেতু যাই বলুন সর্বত্র শ্রমিকের ঘামে গড়ে ওঠে মানবসভ্যতার বুনিয়াদ। শ্রমিকের ঘামে ঘূর্ণায়মান থাকে অর্থনীতির চাকা। আমাদের প্রাত্যহিক কাজে শ্রমিকের সেবা ব্যতীত প্রতিদিনের কাজগুলোও সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে না, চলা সম্ভব নয়। শ্রমিকদের মাঝে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার মানে গোটা সমাজ কাঠামো এভং রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি মাদকের ব্যবসার প্রধান স্থলগুলো হচ্ছে বস্তি। যেখানে শ্রমিক শ্রেণির মানুষের বসবাস। রিকশা গ্যারেজ, বাস স্টেশন, ট্রাক স্টান্ড ইত্যাদি স্থানগুলো মাদকসেবী ও মাদক কারবারীদের প্রধান জায়গা।

মাদকের ভয়বাহ ছোবল হতে শ্রমিকদের বাঁচাতে প্রধান শ্লোগান হওয়া উচিত ‘শ্রমিক বাঁচাও-দেশ বাঁচাও’। শ্রমিক শ্রেণির মাঝে মাদকের ভয়াবহতা প্রতিরোধে কতিপয় সুপারিশমালা :
১.মাদকের রুট হিসেবে ব্যবহৃত স্থানগুলোতে কড়া পাহাড়ার ব্যবস্থা করা।
২.মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা করা, যাতে তারা জামিনে বের হয়ে আবার এ ব্যবসা করতে না পারে।
৩.বস্তি, মেস এবং শ্রমঘন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকারীদের রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়ার জন্য সরকারের কঠিন এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
৪.মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে আরও শক্তিশালী করা। শর্ষের মধ্যে যেন ভুত না থাকে এ বিষয়ে সজাগ ও সতর্ক থাকা।
৫.বস্তি, মেস এবং শ্রমঘন এলাকাগুলোকে নিয়মিত মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা।
৬.শ্রমিকদের জন্য আদর্শিক ও নৈতিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
৭.ধর্মীয় অনুশাসন পালনে তাদেরকে উদ্ধুদ্ধ করে তোলা।
৮.আদর্শিক ও নৈতিক মান উন্নয়নের জন্য শ্রমিকদের মাঝে মটিভেশনাল প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করা।
৯.মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। এ কাজে ধর্মীয় পণ্ডিত ও আলেমদের সম্পৃক্ত করা।
১০.নিরক্ষর শ্রমিকদের জন্য বয়স্ক/গণশিক্ষার ব্যবস্থা করা।
১১.শ্রমিকদেরকে কারো লাঠিয়াল বাহিনীতে ব্যবহার না করার ব্যবস্থা করা।
১২.সকল পেশার শ্রমিকদের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম আরও জোরদার করা।
১৩.ট্রেড ইউনিয়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের আইডি কার্ড দেওয়ার কাজকে আরও গতিশীল করা।
১৪.কোনো ট্রেড ইউনিয়ন সদস্য মাদকাসক্ত হলে ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে জবাবদিহীর ব্যবস্থা রাখা।
১৫.ট্রেড ইউনিয়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের জন্য মানসিক বিকাশে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা।

লেখক: সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

সর্বশেষ সংযোজন

প্রশ্নোত্তরে শ্রম আইন বিষয়: শ্রম আইনে শ্রমিকের চাকরির অবসান ও প্রাপ্ত সুবিধা

প্রশ্নোত্তরে শ্রম আইন বিষয়: শ্রম আইনে শ্রমিকের চাকরির অবসান ও প্রাপ্ত সুবিধা

মার্চ ১৬, ২০২৩

১. প্রশ্ন: শ্রমিকদের চাকরির অবসান কয় প্রকার ও কী কী? উত্তর: শ্রম আইনে ৬ ভাবে একজন শ্রমিকের চাকরির অবসান হতে...

রমজানুল মুবারক (রমজানের ক্যালেন্ডার)

রমজানুল মুবারক (রমজানের ক্যালেন্ডার)

মার্চ ১৬, ২০২৩

মাহে রমজানের ডাক

মাহে রমজানের ডাক

মার্চ ১৬, ২০২৩

মাহে রমজানের ডাক “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যেন তোমরা...

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

মার্চ ৬, ২০২৩

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভয়াবহ বিস্ফোরণের স্থান আজ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান। অধ্যাপক...

শ্রমিক বার্তা | সপ্তম বর্ষ | সংখ্যা ২৩

শ্রমিক বার্তা | সপ্তম বর্ষ | সংখ্যা ২৩

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩

যোগাযোগ:

৪৩৫, এলিফ্যান্ট রোড, বড় মগবাজার
ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
ফোনঃ ৮৩৫৮১৭৭, ৯৩৩১৫৮১/২৫

অন্যান্য লিংকসমূহ:

© 2019, Bangladesh Sramik Kalyan Federation

No Result
View All Result
  • হোম
  • সংগঠন
    • সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
    • লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
    • কর্মসূচি
    • গঠনতন্ত্র
    • সাবেক সভাপতিবৃন্দ
    • সাবেক সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ
  • সংগঠন অবকাঠামো
    • সাংগঠনিক স্তর
    • কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ
    • কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী পরিষদ
    • অঞ্চল
    • মহানগরী
    • জেলা
    • উপজেলা
  • ট্রেড ইউনিয়ন
    • জাতীয় ইউনিয়ন
    • ক্রাফট ফেডারেশন
    • বেসিক ইউনিয়ন
  • কার্যক্রম
    • বিভাগীয় কার্যক্রম
      • ট্রেড ইউনিয়ন
      • শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
      • সাহায্য ও পুনর্বাসন
      • সংস্কৃতি
      • শ্রমিক সেবা
      • সমাজকল্যাণ
      • সংগঠন ও রাজনীতি
      • স্বাস্থ্যসেবা
      • আইন ও মানবাধিকার
      • পরিবেশ ও কৃষিউন্নয়ন
      • যুব ও ক্রীড়া
      • আন্তর্জাতিক
    • সেক্টর ভিত্তিক কার্যক্রম
      • পরিবহন
      • গার্মেন্টস
      • কৃষি
      • রিক্সা ভ্যান
      • নৌ-পরিবহন
      • স্থল বন্দর
      • চাতাল
      • দর্জি
      • নির্মাণ শ্রমিক
  • প্রকাশনা
    • বই
    • সাময়িকী
    • পোস্টার
    • স্টিকার
    • লিফলেট
    • নববর্ষ
    • স্মারক
    • স্মরণিকা
  • গ্যালারি
    • ছবি
    • ভিডিও
  • সংবাদ
    • বিবৃতি
    • শোকবার্তা
    • সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
    • চলতি বিষয়
  • আর্কাইভ
    • প্রবন্ধ/নিবন্ধ
    • দারসুল কোরআন
    • দারসুল হাদিস
    • লাইব্রেরী
  • যোগাযোগ

© 2019 Bangladesh Sramik Kalyan Federation